টপ নিউজ ডেস্কঃগৃহিণী রোজিনার মাতৃস্নেহ অভাব-অনটনের মাঝেও ছোট্ট বাদশা পরিণত হয়েছে বিশালাকার লাল বাদশায়। নিজেদের তিন বেলা খাবার না হলেও লাল বাদশার খাবারে ঘাটতি হয়নি কখনো। লাল বাদশাই এখন গৃহিণী রোজিনার স্বপ্ন।
লাল বাদশা পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভোরা গ্রামের রোজিনা ও সাখাওয়াত হোসেনের গরু। সাখাওয়াত হোসেন কৃষিকাজ করেন। টেলিভিশনে কোরবানির গরু দেখে একদিন তারও শখ জাগে বিশালাকায় গরু পালনের। তাই যেমন ইচ্ছা তেমন কাজ। সেই স্বপ্নপূরণেই পাশের বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলা থেকে চার বছর আগে একটি বাছুরসহ গাভি কেনেন তিনি। তার লালনপালনের দায়িত্ব দেন স্ত্রী রোজিনাকে।
পরবর্তীতে গাভিটি এক আত্মীয়র কাছে বিক্রি করলেও লাল রঙের ষাঁড়টি নিজের গোয়ালে রেখেই পুষতে থাকেন। এর নাম রাখেন লাল বাদশা। এখন প্রতিদিনই মানুষ ভিড় করেন এই লাল বাদশাকে দেখতে।
লাল বাদশাকে লালনপালন করেছেন জীর্ণশীর্ণ একটি গোয়ালঘরে। বর্তমানে গরুটি ৮ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা, ৫ ফুট উচ্চতা এবং আড়ে প্রায় ৮ ফুট ৯ ইঞ্চি। এই চার বছরে লাল বাদশার ওজন হয়েছে ৩২ মণ। ধারণা করা হচ্ছে, এটিই হচ্ছে পিরোজপুর জেলার সবচেয়ে বড় গরু।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা