টপ নিউজ ডেস্কঃ জ্বর, সর্দি, কাশি, শরীর ব্যথা,গলা ব্যাথা—এমন উপসর্গ নিয়ে ১০০ জন মানুষ পরীক্ষা করালে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হচ্ছে। অনেকে এসব উপসর্গকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না, নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে কম। শনাক্ত না হওয়া করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি ভাইরাসটি ছড়াতে ভূমিকা রাখছেন। এতে সংক্রমণ বাড়ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও আবার উদ্বেগ তৈরি করেছে। অবশ্য এবার একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার কম। দেশজুড়ে করোনা চিকিৎসার হাসপাতালগুলোতে বেশির ভাগ শয্যা খালি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত ১০ দিনে সারা দেশে সর্বমোট ১৭ হাজার ৬০৮ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন মাত্র ৫২৫ জন। এদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,হাসপাতালে রোগী ভর্তি কম বলে পরিস্থিতি হালকাভাবে নেওয়ার কোনো উপায় নাই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে সবাইকে। কারণ, করোনার ধরন অমিক্রনের নতুন যে উপধরন ছড়িয়ে পড়ছে, তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে এখনো কিছুই বলা যাচ্ছে না।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অমিক্রনের বিএ-৫ উপধরন এতটা পৃথক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন যে এর গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না বিজ্ঞানী মহল। সুতরাং মাস্কই এখন পর্যন্ত পরীক্ষিত এবং একমাত্র প্রতিরোধক। তাই সবাইকে সচেতন হয়ে নিয়ম অনুযাযী মাস্ক পার আহ্বান জানান এই চিকিৎৎসক।
সম্পাদনায়ঃ শাহাদাত হোসাইন