টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ডে। ১৯৮২ সালে তিউনিশিয়ায় ‘ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস’ এক আলোচনাসভার আয়োজন করে। সেই সভায় ১৮ এপ্রিলে এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো দিনটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।
বিশ্বের দেশগুলোকে পাঁচটি ভৌগোলিক অঞ্চলে ভাগ করেছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি। ভাগগুলো হলো- ১. আফ্রিকা এবং আরব অঞ্চল (মধ্যপ্রাচ্য সহ)।
২. এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (অস্ট্রেলিয়া ও ওশেনিয়া এই অঞ্চলভুক্ত)।
৩. ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা
৪. ল্যাটিন আমেরিকা এবং
৫. ক্যারিবিয় অঞ্চল।
২০০৯ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কো বিশ্বের প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রায় ৮৯০টি অনন্য বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্যস্থল হিসেবে ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে ৬৮৯টি সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, ১৭৬টি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য এবং ২৫টি উভয় বৈশিষ্ট্যের।
বাংলাদেশের ৩টি স্থানকে (২০০৯ সাল পর্যন্ত ) বিশ্ব ঐতিহ্যস্থল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে,
(১)নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, (২)বাগেরহাটের মসজিদ শহর এবং (৩)সুন্দরবন। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার এবং বাগেরহাট মসজিদ শহর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যভুক্ত এবং সুন্দরবন বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্যভুক্ত, যা পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন।
এছাড়াও আমাদের আছে প্রায় আড়াই হাজার বছর পুরনো ‘প্রাচীন উয়ারী-বটেশ্বর’ নামে একটি নগর। আরো আছে প্রায় দুই হাজার তিনশত(২৩০০) বছর আগের প্রাচীন নগর ‘মহাস্থানগড়’। এমনিভাবে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শত শত প্রত্নস্থল। যেমন, মুন্সীগঞ্জ জেলায় প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখননের মাধ্যমে ‘বিক্রমপুর বিহার’ নামে আবিষ্কৃত হয়েছে সোমপুর মহাবিহারের সমসাময়িক আরেকটি বিহার।
বিশ্ব ঐতিহ্য দিবসে এসব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা বিষয়ক কর্মসূচী গৃহীত হয়।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা