টপ নিউজ ডেস্কঃ রেশমপট্টি এলাকায় টিসিবির ডিলার মোস্তাক আহমেদ কাজলের নিজ বাড়ি থেকে ১ হাজার ৫২০ লিটার সয়াবিন তেল, ৩৫০ কেজি চিনি, ৩০০ কেজি মসুর ডাল ও ২০০ কেজি ছোলা জব্দ করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল-মারুফ ওই অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। কাজল ট্রাকসেলের পরিবর্তে নিজ বাড়ির দোকানে টিসিবির পণ্য বেশি দামে বিক্রি করছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে কাজলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে জব্দ করা হয়েছে টিসিবির পণ্য।
পরে কাজলের লাইসেন্স বাতিল করে টিসিবি। এদিকে বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্দ্ধগতির কারণে রমজানের আগে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে টিসিবির ট্রাকের কাছে। তবে লম্বা সময় লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকেই পণ্য না পাওয়ার অভিযোগ করছেন। তারা বলছেন, এক শ্রেণির ক্রেতা টিসিবির ট্রাক থেকে বার বার পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। টিসিবির পরিবেশকেরা তাদের চিনলেও বার বারই দিচ্ছেন। এই ক্রেতারা আবার বাজারের দোকানে নিয়ে গিয়ে পণ্য বেচে দিচ্ছেন। আবার পরিবেশকেরাও কালোবাজারে পণ্য বিক্রি করছেন।
ফলে ট্রাকসেলে সাধারণ মানুষ পণ্য পাচ্ছে না। বিষয়টি স্বীকার করছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হাসান আল-মারুফও। তিনি বলেন, টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিময় হচ্ছে বলেই তো বার বার দোকানে এগুলো পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সাধ্যমত মনিটরিং করে তা ঠেকানোর চেষ্টা করছি। তবে কোথাও টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে দেখলে সাধারণ ক্রেতারা আমাদের খবর দিলে ভাল হয়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালাতে পারি। টিসিবি কর্তৃপক্ষও জড়িত পরিবেশককে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে। এ বিষয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান রবিউল মোর্শেদ বলেন, ‘কোন পরিবেশক টিসিবির পণ্য কালোবাজারি করে ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তার লাইসেন্স বাতিল করা হয়। ইতোমধ্যে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কালোবাজারি ঠেকাতে আমরাও সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
সম্পাদনাঃ সাদী ইউসুফ