সর্বশেষ

36.2 C
Rajshahi
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

রাজশাহী কলেজে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ঠিক আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস পরিকল্পনা করে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাজশাহী কলেজ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১০টায় অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক ও উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ ওলিউর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সম্মানে শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে। এরপর শেখ রাসেল দেয়ালিকায় শহীদ বুদ্ধিজীবীগণের স্মরণে কলেজের শিক্ষার্থীদের লেখা প্রবন্ধ, কবিতা ও চিত্রাঙ্কণ নিয়ে ‘মৃত্যুহীন প্রাণ’ দেয়ালিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এরপর কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ‘শহিদ বুদ্ধিজীবীগণের জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ ওলিউর রহমান ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। সভার শুরুতে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ (এক) মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভার মুখ্য আলোচক ছিলেন ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক লিটন কুমার সরকার।

এছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রফেসর ড. মোঃ সেরাজ উদ্দিন, বিভাগীয় প্রধান, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ড. আবু নোমান মোঃ আসাদুল্লাহ, সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, মোঃ আল আমীন হক, সহকারি অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, কলেজের বিভিন্ন বর্ষ ও বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহ্বায়ক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোসাঃ ইয়াসমীন আকতার সারমিন।

তিনি বলেন, অনেক ত্যাগ ও প্রাণের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।  ১৪ই ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তরুণ প্রজন্মকে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনা ধারণ করে দেশ গঠনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

মূখ্য আলোচক লিটন কুমার সরকার বলেন,  ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবীদের জীবন ও কর্ম আলোচনা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ ওলিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, পাকিস্তানি হানাদাররা তালিকা করে এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। তিনি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনাকে ধারণ করে উন্নত বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে আসার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক তাঁর বক্তব্যে বলেন, এদেশে হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চের কালো রাত থেকেই। মূলত সেদিন থেকেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা শুরু হয়। বাংলাদেশ যেন কখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে এজন্য পাকিস্তানিরা এদেশে তাদের দোসর আল-বদর, আল-সামসদের সহযোগিতায় বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করে ১৪ ডিসেম্বর নির্মমভাবে হত্যা করে। তিনি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের জীবন ও কর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে উপস্থিত সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

পরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ জাতীয় চার নেতা এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবীগণের আত্মার মাগফেরাত কমনা করে কলেজ জামে মসজিদে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সমাপ্তি হয়।

সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles