সর্বশেষ

28.3 C
Rajshahi
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

রিজেন্ট সাহেদ ও স্বাস্থ্যর সাবেক ডিজির বিচার শুরু

টপ নিউজ ডেক্সঃ দুদক এর করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও বিতর্কিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ৬ জনের বিচার শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিজ্ঞ বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। গত ৬ জুন তাদের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন শুনানি হয়। এরপর ১২ জুন চার্জগঠন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। রবিবার নির্ধারিত দিনে অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। একইসঙ্গে এ মামলায় সাক্ষগ্রহণেরও দিন ধার্য করেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েস চার্জশিট গ্রহণের এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলিরও আদেশ দেন। সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক, উপ-পরিচালক ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক ডা.. শফিউর রহমান এবং সাবেক গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম। এর মধ্যে মধ্যে সাহেদ কারাগারে ও বাকিরা জামিনে আছেন।

গত বছর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আবুল কালাম আজাদসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক জনাব ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। উল্লেখ্য যে, চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করারও অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখান থেকে তারা অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা হিসেবে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন।

এছাড়াও চার্জশিটে বলা হয় রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়ারও অভিযোগ আনা হয়েছে এই চার্জশীটে। আসামিদের বিরুদ্ধে সর্বমোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সম্পাদনায়ঃ শাহাদাত হোসাইন

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles