সর্বশেষ

28.3 C
Rajshahi
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

শ্রীনগরে ওয়াকফাকৃত জায়গায় মসজিদ স্থান্তর করার কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগর উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাগেরহাটে রাস্তার পাশে সরকারি জায়গার ওপর টিনের মসজিদটি ওয়াকফাকৃত নিধারিত স্থানে স্থান্তর করার কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকার উত্তেজনা বিরাজ করছে।


স্থানীয় মুসল্লীরা জানান, রাস্তার পাশে সরকারি জায়গায় নির্মিত জান্নাতুল ফেরদাউস জামে মসজিদটির জন্য ওই এলাকার হাজী নেকবর শেখ মসজিদের জন্য ৪ শতাংশ জমি দান করেন। টিনের তৈরী অস্থায়ী মসজিদটি ওয়াকফাকৃত জমিতে স্থান্তর করার জন্য এলাকাবাসী একমত হলেও মসজিদ কমিটির সভাপতি ওহাব দেওয়ান ব্যক্তিস্বার্থে বাঁধা প্রদান করছেন। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই মুসল্লী ও মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে ওহাব দেওয়ানের দ্ব›েদ্বর সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি ওহাব দেওয়ান মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম, জমিদাতা নেকবর শেখসহ মুসল্লী মো. চন্দন, মো. আবুলের বিরুদ্ধে মামলা মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট ৩নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার বাদজুম্মা মুসল্লীদের সাথে ওহাব দেওয়ার কথা কাটাকাটি হলে ওহাব দেওয়ান তার নাতি সিবু, শুভসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মুসল্লীদের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হন ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় মুসল্লীদের পক্ষে মো. ই¯্রাফিল বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় ওহাব দেওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।


ওই এলাকার মো. হেলাল, শহিদুল ইসলাম, আহম্মদ উল্লাহসহ অনেকেই জানান, অস্থায়ী মসজিদটি ওয়াকফাকৃত জায়গায় নিতে চাইলে ওহাব দেওয়ান রহস্যজনক কারণে একাই বিরোধিতা করে আসছেন। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, যেহেতু মসজিদের নামে ওয়াকফাকৃত জমি রয়েছে। তাই সকলের সম্মতিক্রমে দানকৃত জায়গায় মসজিদটি স্থান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়। এতে ওহাব দেওয়ান একাই বাঁধা দিচ্ছেন। অন্যাদিকে আমাদেরকে আসামী করে কোর্টে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন ওহাব দেওয়ান।


মসজিদ কমিটির সভাপতি ওহাব দেওয়ানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ৮ বছর যাবত মসজিদ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। এলাকাবাসীর সুবিধার্থে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ওয়াকফাকৃত জায়গায় মসজিদটি সরানোর কোন প্রয়োজন মনে করছিনা। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুসল্লীদের ওপর হামলার চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, উল্টো মুসল্লীরা আমাকে গালিগালাজ করায় পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসে।
শ্রীনগর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অভিযোগ করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles