শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের বালাশুর বাগানবাড়িতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারের ১নং খাস খতিয়ানে এসএ দাগ নং ৪৪৩, আরএস দাগ নং ১৬৮৫’র ৭০ শতাংশ নাল সম্পত্তি দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই এলাকার অহিদুল সরদারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া সরকারি সম্পত্তির পাশাপাশি দখলকারী অহিদুলের বিরুদ্ধে মালিকানা সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেন একই এলাকার মো. শাহিন নামে এক ব্যক্তি। মামলা নং-১২৬/২০২২।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বালাশুর বাগানবাড়িতে বিরোধপূর্ণ ওই জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছে। সড়কের দক্ষিণ পাশে টিনের বেড়া দিয়ে আড়াল করে ভিতরে কাজ করা হচ্ছে। লক্ষ্য করা যায় এরই মধ্যে প্রায় ৬টি দোকান ঘর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। অপরদিকে অহিদুল সরদার ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। এলাকাবাসী জানায়, অহিদুল ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তির ফয়সালা না করে নির্মাণ কাজ করায় দুই পক্ষের মধ্যে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অভিযোগকারী মো. শাহিন বলেন, রাঢ়ীখাল মৌজায় আরএস ১৭০২নং দাগে ২১ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে আমাদের ১০.৬২৫ শতাংশ নালিশী জমি অহিদুল সরদারগং জবরদখল করে পাকা স্থাপনা করছেন। অহিদুল কারও কথা মানে না। কাজে বাঁধা প্রদান করলে অহিদুল গং আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। উপায় না পেয়ে আদালতে পিটিশন মামালা করি। এর পরেও অহিদুল তার নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখছেন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ব্যারিস্ট্রার সজীব আহমেদ ৩ বার অহিদুলের কাজ বন্ধ করেন। রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, সর্বশেষ গত ২২ এপ্রিল তারিখে সরেজমিনে এসিল্যান্ড স্যার অহিদুলের কাজ বন্ধ করে যান। একদিকে অহিদুলের কাজ বন্ধ করা হয়। অপরদিকে সে পুনরায় কাজ শুরু করে।
অভিযুক্ত মো. অহিদুল সরদারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শাহিনরা আমার কাছে জায়গা পাবে। আমিও তাদের কাছে জায়গা পাবো। কিন্তু আমার জায়গার ব্যাপারে তারা কিছু বলেন না। আপনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিষেধ অমান্য সরকারি সম্পত্তিতে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সুদত্তোর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে নোটিশকারী শ্রীনগর থানার এএসআই মো.শামীম মোল্যা জানান, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাজপত্র নিয়ে তাদেরকে আগামী ৩১/০৫/২০২২ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।