শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগরে এক দলিল লিখকের বিরুদ্ধে জাল দলিল সৃজনের অভিযোগে শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রী অফিস দলিল লেখক ও ভেন্ডার কল্যাণ সমিতি আব্দুর রশিদ মৃধা লিটনের (সনদ নং-১৪৭) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর বুধবার দুপুরের দিকে শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রার মোসাম্মৎ রেহেনা বেগমের কাছে ভুয়া দলিলটি সৃজনের লক্ষ্যে দাখিল করেন ওই দলিল লিখক লিটন মৃধা। সে পাটাভোগ ইউনিয়নের কামার খোলা গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক দলিল জাল জালিয়াতির অভিযোগ। এ নিয়ে দলিল লিখক সমিতির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও দলিল লিখক লিটন মৃধার সনদ বাতিলের সুপারিশ করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রী অফিস দলিল লেখক ও ভেন্ডার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ সিকদার বলেন, এত বড় জাল জালিয়াতি মেনে নেওয়া যায় না। আমরা সমিতির পক্ষ থেকে লিটন মৃধাকে বয়কট করেছি। তার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে সুপারিশ করেছি। অভিযুক্ত দলিল লিখক আব্দুর রশিদ মৃধা লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জেনে শুনে কাজটি করিনি। দলিলটি আমার সহকারী তৈয়বুর রহমান মিঠু লিখেছে। এ বিষয়ে তৈয়বুর রহমান মিঠু জানান, পুষ্পধারা প্রপার্টিজের প্রতিনিধি আজাদ ও জালাল নামে দুজন দলিল সৃজনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমাকে দিয়েছে।
শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রার মোসাম্মৎ রেহেনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ মৃধা লিটনের বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। লিটনের দলিলের রেজিস্ট্রী কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার বাড়ৈখালী মৌজায় ১ একর ৩৮.৫০ শতাংশ ধানি জমির পাওয়ার নামা দলিলের জন্য দলিল দাতার এনআইডি কার্ড নকল করে ও টাকার বিনিময়ে এক ব্যক্তিকে ভুয়া দলিল দাতা সাঁজিয়ে লিটন মৃধা একটি দলিল সৃজনের জন্য জালিয়াতির আশ্রয় নেয়। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রার জাল জালিয়াতের বিষয়টি বুঝতে পেরে আব্দুর রশিদ মৃধা লিটনকে তার অফিসে কিছুক্ষণ আটকে রাখেন। পরে রহস্যজনক কারণে লিটন মৃধাকে ওই দিন ছেড়ে দেওয়া হয়। ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার নারিশা এলাকার মো. গুঞ্জুর আলী বেপারীর পুত্র মাহবুবুর রহমান বেপারী ওই জমির প্রকৃত মালিক। তার এনআইডি কার্ড নকল অন্য ব্যক্তির ছবি পরিবর্তণ করে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়। এ সময় ভুয়া দলিল দাতা নির্বিঘেœ পালিয়ে যায়। দলিল লিখক লিটনা মৃধা ও গ্রহিতা সৈয়দ আলী নূর ইসলামের কারসাজিতে দলিলটি সৃজনের জন্য অপচেষ্টা করা হয়।