(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালীতে সরকারি সড়কে বনায়নের গাছ লুটের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার দায়ের করার জন্য সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। গত ২২ জানুয়ারি শনিবার পশ্চিম বাড়ৈখালীর মদনখালী সড়কের কাশেম বয়াতির বাড়ির পাশে বড় আকারের কড়ই ও মেহগনিসহ মোট ৩টি বনায়নের গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠে ওই এলাকার প্রভাবশালী মন্নাফ মাস্টারের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মন্নাফ মাস্টার সরাসরি কথা বলতে রাজি না হলেও তার পক্ষে সাফাই করেন তার শ্যালক (বাড়ৈখালী ইউপি নির্বাচন-২০২১’র চেয়ারম্যান প্রার্থী) মো. হাফিজুল ইসলাম।
তিনি দম্ভ করে বলেন, গাছগুলো তাদের মালিকানা জায়গায়। তাই গাছগুলো কেটে বিক্রি করা হয়েছে। এতে আবার পারমিশন নিতে হবে কেন? এ নিয়ে গত ২২ ও ২৩ জানুয়ারি রোববার বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে “শ্রীনগরের পশ্চিম বাড়ৈখালীতে বনায়নের গাছ কর্তনের অভিযোগ” শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের নজর কারে। এ ঘটনায় উপজেলার বন বিভাগ কর্মকর্তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি মুন্সীগঞ্জে আছি। এলাকায় এসে মামলার প্রস্তুতি নেবো। শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী বলেন, আমি নিউজ দেখে সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে মামলা করার জন্য বলেছি। উল্লেখ্য, গত শনিবার পশ্চিম বাড়ৈখালীতে মন্নাফ মাস্টারের নেতৃত্বে মদনখালী সড়কের বনায়নের গাছ কর্তন করা হয়। গাছের বাজার মূল্য ৭০ হাজার টাকা হলেও গাছগুলো বিক্রি করা হয় মাত্র ১০ হাজার টাকায়।
স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী আজাহার তালুকদার লুটের এসব গাছ কিনে নেয়। ৭ হাজার টাকা চুক্তিতে গাছ গাছগুলো কেটে দেয় শ্রমিক রুবেলগং। ট্রলির চালক শেখ সোবাহান লুটকৃত গাছ স্থানীয় বাদলের সমিলে নিয়ে যায়। মাঝে মধ্যেই বিনা পারমিশনে সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জায়গায় কিংবা রাস্তাঘাটের বনায়নের গাছপালা কাটার অভিযোগ পাওয়া গেলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। এতে এ ধরণের অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেছেন। মো: ফারুখ খাঁন শ্রীনগর,মুন্সীগঞ্জ ২৫/০১/২৩ইং