টপ নিউজ ডেস্কঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক ছাত্র হলগুলোয় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। কাগজে-কলমে হল প্রশাসন দায়িত্বে থাকলেও হলে শিক্ষার্থী তোলা ও সিট ছাড়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন ছাত্রলীগ নেতারা। হলগুলোয় প্রশাসন আবাসিকতা দিলেও অবৈধভাবে সিট দখল করে থাকা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাধার মুখে আবাসিকতাপ্রাপ্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সিটে তুলে দিতে পারছে না হল প্রশাসন।
ফলে ছাত্রলীগ নেতাদের অনুসারী নবীন শিক্ষার্থীরা আবাসিকতা ছাড়াই হলে জায়গা পেলেও আবাসিকতাপ্রাপ্ত সিনিয়র সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারছেন না। এছাড়া শিক্ষাজীবন শেষ হওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা সিটের একটি অংশ দখল করে থাকছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলগুলোয় শতভাগ বৈধ শিক্ষার্থী নিশ্চিতের কথা বলা হলেও তা বাস্তবে ফল দিচ্ছে না। উলটো ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন হল প্রভোস্টরা। হলে আবাসিকতাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তুলতে প্রক্টোরিয়াল বডির সহায়তা নিয়ে কাজে আসছে না অভিযান চালিয়েও ।
শনিবার রাতে ছাত্রলীগের এক নেতা কক্ষটিতে নবীন এক শিক্ষার্থীকে তুলতে গেলে ওই কক্ষে অবস্থানরতদের বাধার মুখে পড়েন। এ নিয়ে তাদের মাঝে প্রায় দুই ঘণ্টা বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জেরে রাত ৩টায় আবারও বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে মারধররের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ভোর পর্যন্ত হট্টগোল চলে। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় রোববার মীমাংসা করে দেন দুপুরে হল প্রভোস্ট উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে ।
সম্পাদনায়ঃ পূরবী রায় ।