টপ নিউজ ডেস্কঃ আজ বিশ্ব সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন দিবস। ২০১৮ সাল থেকে জাতিসংঘ প্রতিবছর ২১ এপ্রিল উদ্যাপন করে আসছে। দিবসটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে মানব উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য – সমস্যার সমাধানে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন।
প্রতিটি মানুষের নিজস্ব কিছু প্রতিভা থাকে। কেউ বই লিখে তো কেউ ছবি আঁকে, আবার কেউ কেউ গবেষণায় নতুন কিছু আবিষ্কার করে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে। তাদেরকে যুগ থেকে যুগান্তরে মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে থাকে। তাদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সহজ হয়। বিখ্যাতদের সৃষ্টি দেখেই অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকে আবার নতুনকিছু আবিষ্কার করার স্বপ্ন দেখেন। এভাবেই সৃষ্টি হয় নতুনত্বের, পৃথিবী দেখে অভিনব সব আবিষ্কার।
উন্নত দেশগুলো তাদের জাতীয় বাজেটের একটি বিশাল অংশ গবেষণার খাতে ব্যয় করে। গবেষণাগারগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি এবং বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবগুলো আধুনিকায়নসহ অন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সরকারিভাবে সাহায্য করা হয়ে থাকে। এতে গবেষক এবং উদ্ভাবকরা অনুপ্রাণিত হয়ে সৃজনশীলতার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তার ফলে তারা বিশ্বে খুব ভালো ও নতুন আবিষ্কার দেখাতে সক্ষম হন। এক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ, গবেষণায় ও উদ্ভাবনে বেশ পিছিয়ে।
সর্বপ্রথম বিশ্ব সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন দিবস কানাডার টরন্টোতে ২৫ মে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কানাডিয়ান মারসি ছিলেন সেই দিনের প্রতিষ্ঠাতা। এরপর ২১ এপ্রিল বিশ্ব সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন দিবসকে, পর্যবেক্ষণের দিন হিসাবে সংঘবদ্ধ করার জন্য, জাতিসংঘ ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল সংকল্প করেছে। এবং এরপরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা