শাহাদাত হোসাইনঃ “পুকুর খননের মহোৎসবে, নিরব প্রশাসন” শিরোনামে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত বাংলার জনপদে সংবাদ প্রকাশের ১মাস পর আটক হয়েছেন রাজশাহীর পবা উপজেলার অবৈধ পুকুর খনন সিন্ডিকেটের প্রধান মিনারুল ইসলাম। রাজশাহীর পবায় ৩ ফসলি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
উপজেলার দারুশা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে অবৈধ পুকুরখননের দায়ে এবং এলাকার মানুষকে হুমকী দেয়ার অপরাধে দারুশা এলাকার মৃত হারুনর রশিদ ওরফে হারানের ছেলে পুকুর খনন সিন্ডিকেটের প্রধান মিনারুল ইসলামকে ছয় মাসের জেল দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দারুশা এলাকায় এ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লসমী চাকমা। জানা যায়, বিগত কয়েক বছর থেকে কর্ণহার ও এর আশেপাশের বিল এলাকায় পরিবেশ ও রাস্তাঘাট নষ্ট করে বেপরোয়াভাবে অবৈধ পুকুরখনন চালিয়ে যাচ্ছিলেন মিনারুল ইসলাম। গতবছরও ভ্রাম্যমান আদালত তার দুই লাখ টাকা জরিমানা করে।
এব্যাপারে ভূক্তভোগি দারুশা এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে সুমন জানান, যথাযথ আইনি পদক্ষেপের অভাবে প্রতিবছর দারুশা এলাকার বড়বিলসহ আশেপাশের বিলে অসংখ্য অবৈধ পুকুর খনন করা হচ্ছে। ফলে কৃষি জমি, বড়বিলের জীব বৈচিত্র ও রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। এর মধ্যে মিনারুল ও তার ঘনিষ্টরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে সর্বাধিক পুকুর খনন করে থাকে এবং এলাকার মানূষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মানুষকে জিম্মি করে জমি নিয়ে পুকুর খননের অনেক অভিযোগ রয়েছে। তারা টাকার বিনিময়ে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মচারী ও নেতাকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবৎ এই অবৈধভাবে পুকুর খনন করে আসছে। বেপরোয়া অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধে কার্যকর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি।
সুমন ও আব্দুল আজিজ বলেন, বর্তমানে দারুশা পশ্চিমপাড়ায় মিনারুল তাদের জমির পাশে পুকুর কাটলেও পাড় দেননি। এতে বর্ষায় আব্দুল আজিজের জমি পুকুরে ধ্বসে পড়বে। জনগণের কল্যাণে পুকুরখননে বারবার নিষেধ করা সত্বেও মিনারুল তা শুনে না। উল্টো আমাদেরই হুমকী-ধামকি দিয়ে আসছে।