টপ নিউজ ডেস্ক: ক্রিপ্টো, বৈদেশিক মুদ্রা, পণ্য, এমনকি বিদেশি স্টক পর্যন্ত নিজের ছায়া প্ল্যাট ফরমেট্রেড করার সুযোগ দিয়ে সম্প্রতি সাড়া জাগানো অ্যাপ এমটিএফই’র ফাঁদে পড়ে নিঃশ্ব হয়েছে রাজশাহীর হাজারো মানুষ।
এদের মধ্যে অধিকাংশই বেকার যুবক-যুবতী। তাঁরা চাকরি না পেয়ে ধার-দেনা করে কেউ বা জমি বন্ধক রেখেওই অ্যাপে টাকা জমা করেন। এখন অনেকের ঘাড়ে জমেছে উল্টো ঋণের বোঝা। এখন সেই ঋণ কিভাবে তারা শোধ করবেন, সেটি নিয়েও পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে সব মিলিয়ে রাজশাহী নগরীসহ জেলার ৯টি উপজেলার অন্তত ৫ হাজার মানুষ এ অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন। প্রতারক চক্রটি এই বিপুল মানুষের নিকট থেকে অন্তত ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
শুধু রাজশাহীতেই নয় এর ফাঁদে পা দিয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ। বাংলাদেশে এমটিএফই-এর কত গ্রাহক আছে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি। তবে এক হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮ লাখ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এই অ্যাপে। শুধু বাংলাদেশ নয় দুবাই, ওমান, কাতার সৌদি আরবের মতো দেশগুলোতে কর্মরত বাংলাদেশিরাও এমটিএফইতে বিপুল পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করেছে।
বাংলাদেশে এদের কোনো অফিস নেই। অধিকাংশ বাংলাদেশির ওয়ালেটের ব্যালেন্সে ডলার থাকলেও সেই ডলার তারা তুলতে পারছেন না। শুক্রবার ও শনিবার অনেকের এমটিএফই ওয়ালেটের ব্যালেন্স ঋণাত্মক বা মাইনাস দেখানো হচ্ছে। অর্থনীতির ভাষায় প্রতিষ্ঠান লোকসান করায় গ্রাহকদের কাছ থেকে তারাই বরং টাকা পাবে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে রাজশাহীর কেউ এর সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা এটি কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
সম্পাদনায়: হাবিবা সুলতানা