টোপ নিউজ ডেস্ক : ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্যাম্পাস–সংলগ্ন চানগাঁও এলাকাবাসীর পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে জড়ো করে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন এলাকাবাসী।
সংঘর্ষে দু-তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজনকে সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিশ্ববিদ্যালয়টির মেডিকেল সেন্টার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা ও ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা জানান, সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকজন যুবকের মারধরে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়টির বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের (চতুর্থ বর্ষ) শিক্ষার্থী মো. হাসিবুল ইসলাম । রোববার ওই শিক্ষার্থীর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে বিকেলের দিকে ক্যাম্পাস–সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেন ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা চানগাঁও এলাকার দোকানগুলো বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হন দোকনদারেরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা সড়ক বন্ধ করে দেন। এলাকাবাসীর চলাচলের সড়কটি বন্ধ হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন এলাকাবাসী। পরে তাঁরা জড়ো হন।
ক্যাম্পাসের মাঠে উপাচার্যের কাছে ড্যাফোডিলসহ একই এলাকার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য একটি পুলিশ বক্স স্থাপনসহ চার-পাঁচটি দাবি জানান। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। ওই সময় শিক্ষার্থীরা খবর পান এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ক্যাম্পাসের ইউনুস খান স্কলার গার্ডেন-১ হলের পাশে অবস্থান নিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে গিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর করেন। কয়েকটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে জড়ো হতে বলেন। পরে উভয়ের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
সম্পাদনায় : মো: আরিফুল ইসলাম