টপ নিউজ ডেস্ক: সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার। এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে ওষুধ প্রশাসনের অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) এ আদেশ দেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা অব্যাহতভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। নির্দেশ দিয়েছেন আদালত বিদেশ থেকে আমদানি করা অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে।
‘দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ রিট দায়ের করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহেও দাম বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ওষুধের।
সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম। এছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধ এবং ভিটামিনের দামও বেড়েছে। বাদ যায়নি জ্বর-সর্দির ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, বিভিন্ন অসুখের সিরাপও।
বিভিন্ন কোম্পানির বিক্রি থেকে আয়ের হিসাব এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অস্বাভাবিক দাম বাড়ানোর হার। এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে কোম্পানিগুলো দায়ী করছে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও কাঁচামালের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যাওয়াকে। এসময় ওষুধ কোম্পানিগুলোর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন।
সম্পাদনায়: শাহনাজ সাফা