তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহী তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ নিয়ে বিগত কয়েক বছর থেকে চলছে খেলা। এই খেলাতে লিপ্ত আছেন আওয়ামী লীগের দুইজন বড় নেতা। এরা হচ্ছেন, উপজেলা আঃলীগের সভাপতি ও সাবেক মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী এবং কামাগাঁর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল-মামুন।
শুধু তাই নয় সকল প্রকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে ঘাঁয়েল করার জন্য হাতুড়ি-বাটাল-জক-মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচনে সমর্থন করে যাচ্ছেন তারা। পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। অথচ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, দেশের আইকন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন ফারুক চৌধুরী। তানোর-গোদাগাড়ীর প্রতিনিধি হিসাবে আওয়ামী লীগ সংগঠন থেকে বারবার ফারুক চৌধুরীকেই নৌকা প্রতীক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এখন প্রশ্ন হল রাব্বানী ও মামুন কার তথা কিসের রাজনীতি করে?
স্থানীয় সংসদ এবং দলীয় মনোনীত এমপিকে নিয়ে তারা দু’জন যে মিথ্যাচারে লিপ্ত এতে করে আওয়ামী লীগ সংগঠন তথা দলের চেইন অব কমান্ড না মানায় আগামী ১৬ জুন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সম্পাদকের পদ হারাতে যাচ্ছেন তারা। তানোর উপজেলার ৭ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার ৯৮% আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও মনে মনে অনেক আগেই তাদেরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন। এমনকি তাদের কারো দেখা মিলেনি আঃলীগের কোন মিটিং কিংবা মিছিলে।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরিফ খাঁন বলেন,, ষড়যন্ত্রকারীরা এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর জনপ্রিয়তা দেখে দিশেহারা হয়ে এইসব বগি আওয়াজ তুলে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বিগত কয়েক বছর থেকে তারা নিজেদেরকে ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ চেয়ারপার্সন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার নৌকা প্রতীক দিয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরীকে। সে অনুসারে তানোর গোদাগাড়ীর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর উচিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে মেনে চলা তথা দলের চেইন অব কমান্ড মেনে চলা। অন্যথায়, নিজেদেরকে আওয়ামী লীগ পরিচয় দেওয়া ঠিক না।
আগামী ১৬ জুন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে, ৭ টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে তারা জানায়, যারা সকল প্রকার নির্বাচনে নৌকা ও আওয়ামী লীগ সংগঠনের বিপক্ষে কাজ করেছেন এবং করছেন তাদেরকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক হিসাবে দেখতে চাই না। পাশাপাশি তারা দলের হাই-কমান্ডের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন যে, বর্তমান তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল-মামুনকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক এবং নতুন নেতা নির্বাচন করা হোক।