টপ নিউজ ডেস্ক: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আজ ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের আজকের এই দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল)।
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতজ্ঞ, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, সাংবাদিক, গায়ক, চলচ্চিত্রকার ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন বাংলা সংগীত জগতকে।
কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কাজী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। ‘দুখু মিয়া’তার ডাক নাম ছিল । তাঁর পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। প্রেম, সাম্যবাদ, দ্রোহ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে । তার গান ও কবিতা ছিল মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণার উৎস। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল বাংলা সাহিত্যে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক ছিলেন তিনি। তার লেখনী ব্যাপক ভূমিকা পালন করে জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে। তার কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মানুষকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে যুগে যুগে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। তিনি বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এবং কবির জন্য ধানমন্ডিতে একটি বাড়ি প্রদান করেন। জাতীয় কবিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে। এখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন তিনি।
সম্পাদনায়: শাহনাজ সাফা
