টপ নিউজ ডেস্কঃ ‘চলছে গাড়ি সিসিমপুরে…’ এই গানটির সাথে পরিচিত নয় এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। আমাদের শৈশব-কৈশোরের অন্যতম আকর্ষনের নাম ‘সিসিমপুর’। সেই সিসিমপুরের গাড়ি চলতে চলতে আজ আঠারোতে।
২০০৫ সালের ১৫ এপ্রিল প্রথম প্রচারের দিন থেকে নিয়মিত প্রচারিত হয়ে আসছে এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনের পর্দায়। বিটিভিতে বিগত ১৭ বছর বিরতিহীনভাবে সিসিমপুর সম্প্রচার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বর্তমানে সিসিমপুর একসাথে দুরন্ত, মাছরাঙা এবং বিটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে। তিনটি টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি দর্শক এই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছে।
সিসিমপুর, টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং মুদ্রিত বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে শিশুকে বর্ণ চেনানো, শব্দ থেকে বর্ণ চিহ্নিত করানো, বর্ণ দিয়ে শব্দ মেলানো এবং শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করতে সাহায্য করে। সেইসাথে চারপাশের পরিবেশ থেকে উপকরণ খুঁজে, সেগুলোর মাধ্যমে বর্ণ এবং শব্দ চিনতে সাহায্য করে শিশুদের। এছাড়াও সিসিমপুরের বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান থেকে বিভিন্ন আকার ও আকৃতির নাম এবং রঙের নাম ইত্যাদি শেখানো হয়।
অমর একুশে বইমেলাতেও শিশুদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের বিষয় সিসিমপুর। মেলাতে প্রতি শুক্র-শনি এবং ছুটির দিনগুলোতে শিকু, হালুম, টুকটুকি আর ইকরির সঙ্গে সময় কাটাতে শিশুদের ঢল নামে। যা ইতোমধ্যেই অমর একুশে গ্রন্থমেলার অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে।
সিসিমপুর-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ-এর বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘সতেরো বছর ধরে শিশুতোষ এই অনুষ্ঠান নির্মিত হয়ে আসছে তিন থেকে আট বছর বয়সী শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে। এছাড়াও শিশুদের মাঝে পারস্পরিক শ্রদ্ধা-মমত্ববোধ, অভিন্নত্ব ও বৈচিত্র্যের প্রতিও প্রতি শ্রদ্ধাশীল করার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে অনুষ্ঠানটি।’
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা