টপ নিউজ ডেস্কঃ বিশ্ব কণ্ঠ দিবস আজ। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘Lift your voice’ যার বঙ্গানুবাদ হচ্ছে ‘আপনার কণ্ঠ থাকুক উচ্চকিত অথবা শানিত হোক কণ্ঠস্বর’। বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর ১৬ এপ্রিল পালিত হয় দিবসটি। আমেরিকান একাডেমি অব অটোলারিঙ্গোলজি-হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি (AAO-HNS) কর্তৃক প্রস্তাবিত এই প্রতিপাদ্যটি আমাদের যথাযথ এবং গুণগত কণ্ঠস্বর ফিরিয়ে আনার কথা বলে, যেন আমরা নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারি এবং উন্নত হয় আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা।
১৯৯৯ সালে প্রথমবার কন্ঠ বা ভয়েস দিবস উদযাপন করেছিল ব্রাজিলিয়ান ভয়েস কেয়ার পেশাদাররা। পরবর্তীতে দিনটি ব্রাজিলিয়ান ভয়েস ডে হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর দিনটি আর্জেন্টিনা ও পর্তুগালের মতো দেশগুলোতেও উদযাপিত হয়েছিল। এরপর ২০০২ সালে, আমেরিকান একাডেমি অব ওটোলারিঙ্গোলজিস্ট-হেড এবং নেক সার্জারি দিবসটি উদযাপন শুরু করলে, আনুষ্ঠানিকভাবে দিনটি বিশ্ব কণ্ঠ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ।
এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, আমাদের দেশের পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ কণ্ঠের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন স্বরভঙ্গে। এছাড়াও দেশের ক্যান্সার আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৩০ ভাগই নাক, কান ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং তাদের এক-তৃতীয়াংশ শুধুই গলার ক্যান্সারে ভুগছেন।
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডা. সতীনাথ সরকার জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গলা বসা কিংবা কণ্ঠস্বর ভাঙার কারণ হলো শ্বাসনালিতে সংক্রমণ। তবে সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা কিংবা দীর্ঘক্ষণ জোরে কথা বললেও গলার স্বর ভাঙতে পারে। কিন্তু যদি দীর্ঘদিন এই সমস্যা হয়ে থাকে, কিছুতেই না সারে এবং বিশেষ করে যদি আপনি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন, তবে এখুনী সতর্ক হোন।
এছাড়া ফুসফুস বা শ্বাসতন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েও গলা বসে যেতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা হলেও অনেক সময় গলার স্বর বসে যায়। এমনকি গলার কোনো অস্ত্রোপচারের সময় ভোকাল কর্ড বা স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গলা বসে যেতে পারে।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা