সর্বশেষ

36.4 C
Rajshahi
শনিবার, মে ৪, ২০২৪

বিশ্ব দাসবাণিজ্য স্মরণ ও রদ দিবস আজ

টপ নিউজ ডেস্কঃ অপরের ক্ষতি না করে প্রতিটি মানুষেরই আছে স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার। কিন্তু মানুষের স্বাধীনতা চূড়ান্তভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে এমনও অনেক যুগ কেটেছে মানব সভ্যতার। মানুষ অন্যের দাসে পরিণত হয়েছে। ১৯৪৮ সাল থেকে ইউনেস্কোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর আজকের দিনে (২৩ আগস্ট) পালিত হয় আর্ন্তজাতিকভাবে দাস বাণিজ্য স্মরণ ও রদ দিবস হিসেবে।

এই প্রথার বিরুদ্ধে ১৭৯১ সালের ২২ থেকে ২৩ আগস্ট রাতে হাইতি প্রজাতন্ত্রের সেন্ট ডোমিংয়ে বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিলো। এই বিদ্রোহ গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলো ট্রান্স আটলান্টিক ক্রীতদাস বাণিজ্যের বিলুপ্তিতে। যার ফলশ্রুতিতে প্রতিবছর আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হয় দিবসটি। এটি ১৯৯৮ সালের ২৩ আগস্ট প্রথমে হাইতিতে এবং সেনেগালের গোরি দ্বীপে ১৯৯৯ সালের ২৩ আগস্ট উদযাপিত হয়েছিলো।

মানুষকে বিশ্বব্যাপী দাসপ্রথার ট্র্যাজেডি সম্পর্কে জানাতে এবং সচেতন করতে এই আন্তর্জাতিক দিবসটি পালিত হয়। এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য শ্রমিক শ্রেণিকে শোষণ-নিপীড়ন, মানবপাচার, জোরপূর্বক বিয়ে ও ধর্ষণ, যৌনদাসত্ব, এবং যুদ্ধে শিশুদের ব্যবহার রোধে সচেতনতা বাড়ানোই।

মানবসভ্যতার ইতিহাস হতে জানা যায়, প্রথম ক্রীতদাস প্রথা চালু হয় খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ থেকে ৩০০০ অব্দে মেসোপটেমিয়ায়। যা ১ হাজার বছরের মধ্যে মিশর হয়ে ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, ভারতীয় উপমহাদেশেও দাসপ্রথা ছড়িয়ে পড়েছিলো। আফ্রিকা, তুরস্ক, পারস্য ও চীনদেশ হতে বাংলার সুলতানরা দাস-দাসী আমদানি করতো বলে। আফ্রিকান,  হাবশী ও কাফ্রি নামে বাংলার বাজারে ১৮৩০ সাল পর্যন্ত ক্রীতদাস আমদানি করা হতো।

পুরুষ দাসদের মুসলমান সমাজে বলা হতো গোলাম বা নফর এবং দাসীদের বলা হতো বান্দি বা লৌন্ডি। হিন্দু ও মুসলিম উভয় আইনে, যৌনদাসত্বেও বাধ্য থাকতো দাসীরা। উনিশ শতকের প্রথম দিকে বৃদ্ধ ও শিশু দাসদের বাজার দর ছিল ৫ থেকে ৭ টাকা। স্বাস্থ্যবান তরুণ দাসদের বাজার দর ছিল ২০ থেকে ৫০ টাকা।

উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে দাসপ্রথাকে সামাজিকভাকে ঘৃণ্য ও পরিত্যাজ্য হিসেবে পরিগণিত করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে মানবতাবাদী আন্দোলনগুলো এবং বিশ শতকের গোঁড়ায় দাসপ্রথা মুক্ত হয় বাংলা। তবে ওয়ার্ল্ড লেবার অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী, দাস প্রথার বিলোপ ঘটলেও এখনও জোরপূর্বক শ্রম, দাসত্ব ও দাসত্ব সংশ্লিষ্ট প্রথার কাছে বন্দি রয়েছে ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ।

সম্পাদনায়: হাবিবা সুলতানা

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles