সর্বশেষ

36.4 C
Rajshahi
শনিবার, মে ৪, ২০২৪

ভূয়া দলিল এবং মানহানিকর তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলনটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে টপ নিউজ ২৪ অনলাইন ডট কমে

মোঃসাগর আলীঃ রাজশাহীতে ভুয়া দলিল ব্যবহার করে রাস্তাদখলকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইনজীবী সুমা খাতুন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্য ছড়িয়ে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১১ এপ্রিল) রাত ৮টায় বরেন্দ্র প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে ভুক্তভোগী ও তার পরিজনদের উপস্থিতিতে, তাদের পক্ষ হতে এ্যাডভোকেট সুমা খাতুন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত বছরের জানুয়ারি মাসে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওর্য়াডের অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে রাস্তা তৈরীর কাজ শুরু করা হয়। সেসময় আমার প্রতিবেশীর সাথে রাস্তার সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে একাধিকবার কথাকাটাকাটি হয়। দীর্ঘ এক বছর ধরে আমার এবং আমার পরিবারের সাথে অভিযুক্ত রোকুনুজ্জামান এবং তার সহযোগীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। এরপর সর্বশেষ গত ৪ এপ্রিল রাসিকের মানবিক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে গত এক মাস আগে থানার মিমাংসার ফলাফলের সূত্র ধরে নির্মানাধীন প্রাচীরটি ভেঙ্গে দেয়া হয়।

আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমরা কাজটিতে বাধা প্রদান করি নাই তবে অভিযুক্ত রোকুনুজ্জামান এবং মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজন প্রাচীর ভাঙ্গার ভিডিও চিত্রটি ধারন করে তা বিভিন্ন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় যা আমার এবং আমার পরিবারের জন্য মানহানিকর। এইসব মিথ্যা তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া ভিডিওগুলোর ফলে বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমি দ্রুত আদালতের শরনাপন্ন হবো। পরিশেষে এ্যাডভকেট সুমা খাতুন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম. খাইরুজ্জামান লিটন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টির সুষ্ঠ সমাধান চেয়েছেন।

সেইসাথে এ্যাডভকেট সুমা খাতুন এবং অভিযুক্ত প্রতিবেশী জামায় আলী মীরের পক্ষ থেকে যথাক্রমে সার্ভেয়ার আমানুল আলম বাবু এবং কবির হোসেন জামির, ১০৮৮ এবং ১০৮৯ দাগের মাটি পরিমাপ করেন। এতে জমিটির ১০৮৮ দাগের কিছু অংশ ১০৮৯ দাগের মধ্যে রয়েছে বলে জানা যায়। যেখানে রেল কর্মচারী মুরাদসহ একাধিক প্রতিবেশী গৃহনির্মান করে বসবাস করছে। অন্যদিকে দেখা যায়, জে.এল ১৩৩নং নক্সায় এ্যাডভকেট সুমা খাতুনের জমির চৌহদ্দীতে কোন রাস্তার উল্লেখ্যই নেই। তারপরও নানা তালবাহানায় অভিযুক্তরা জমির এইসকল সমস্যা এড়িয়ে চলতে থাকে। বিষয়টি একাধিকবার ১৯নং ওর্য়াড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম সুমনের নিকট জানানো হলেও, বিষয়টি নিয়ে ওর্য়াড কাউন্সিলরের শক্ত পদক্ষেপ এর অভাবে এখনও সমস্যাটির সমাধান সম্ভব হয়নি।

সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles