শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া বাজারে গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বহুতল মার্কেট নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পাইলিং কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিন্মমানের মাটিযুক্ত ছোট পাথর ও অন্যান্য সামগ্রী। এ কাজে স্থানীয় এলজিইডি প্রকৌশলী অফিসের কার্যসহকারী বাবলুসহ মোট ৩ জন দৈনিক আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন জন প্রতি প্রায় ২ হাজার করে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। কাজটির তদারককারী উপজেলা প্রকৌশলী মো. মহিফুল ইসলাম এর আগে জানিয়েছিলেন বাঘড়া মার্কেট নির্মাণ কাজে যেসব পাথর আনা হয়েছিল সেগুলোকে ব্যবহার করতে নিষেধ করেছি। খোঁজ নিয়ে দেখবেন তিনি।
অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাথারসহ অন্যান্য উপকরণ সামগ্রী পালটানো তো দূরের কথা আগের রাবিস পাথর দিয়েই পাইলিংয়ের কর্মযজ্ঞ চলছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মহিফুল ইসলামের কাছে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ে গিয়ে তার সাক্ষাৎ মেলেনি। মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী (মার্কেকটির নক্সাকার) মো. শরিফুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, পাথর যেখানে ফেলা হয়েছে সেখানে কাঁদামাটি থাকায় ময়লা জমেছে। পাথর ধুয়ে পাইলিং কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে । এখন কোন সমস্যা নেই। সাইডে কাজের দেখভালের জন্য প্রকৌশলী অফিসের ৩ জনকে ঠিকাদারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি খানিকটা নিশ্চুপ থেকে বলেন আমি জানিনা বলে এড়িয়ে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কোটি ৫৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা চুক্তিমূল্যে বাঘড়া বাজারে মার্কেট নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শাহাবুদ্দিন ট্রেডিং কোম্পনীর কর্ণধার একই জেলার পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার আক্তার হোসাইন খান লাবু। ঠিকাদারের ছোট ভাই আতাউর হোসেন খান বাঘড়া বাজারে নির্মাণাধীন মার্কেটের কাজের দেখভাল করছেন। এনিয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বাঘড়া বাজারে মার্কেট নির্মাণ কাজের অনিয়ম করার সচিত্র প্রতিবেদনটি গুরুত্বের সাথে ছাপা হয়।
আতাউর রহমান বলেন, আগের পাথরই ব্যবহার করছি। পরিস্কার করে নিচ্ছি। এগুলো পদ্মা প্রজেক্টের পাথর। প্রকৌশলী যেভাবে বলছে সেভাবে কাজ করা হচ্ছে। প্রকৌশলী অফিসের সংশ্লিষ্টদের দৈনিক রোজের টাকা প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, ১ জনকে ২ হাজারের নিচে দেওয়া যায়না। আরেকজনকে যা দেই তাই নেয়। মুন্সীগঞ্জ থেকে একজন আসেন তাকেও কম দেওয়া যায়না।