টপ নিউজ ডেস্কঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে আশুগঞ্জের দুর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক সুজন খানের দুই শিশু সন্তানের মৃত্যুতে এমন অভিযোগ উঠেছে। মৃতরা হলো ইয়াছিন খান (০৭) ও মোরসালিন খান (০৫)।
শিশুদের মা লিমা বেগম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইয়াছিন ও মোরসালিনের জ্বর ছিল। তিনি আরো জানান, বাড়ির পাশের ‘মা ফার্মেসি’ থেকে নাপা সিরাপ এনে তাদের খাওয়ানো হয়,এরপরই দুইজন বমি করতে থাকে। অবস্থার আরো অবনতি হলে, তাদের প্রথমে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে জেলা সদর হাসাপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেওয়ার পথে ইয়াছিন এবং বাড়িতে আনার পর মোরসালিনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. রফিক-উস-ছালেহীন এবং কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে তদন্ত কমিটিকে।
এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকেও আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুপুর সাহাকে প্রধান করে পৃথক আরেকটি তিন সদস্যের পরিদর্শন কমিটি করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। শনিবার (আজ) থেকে কমিটির তদন্ত কাজ শুরু হবে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া ঘটনার পর গতকাল রাত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল ফার্মেসিতে সাময়িক সময়ের জন্য নাপা সিরাপ বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করে জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।
উৎসঃ আজিজুল সঞ্চয়/এসপি, বাংলাদেশ জার্নাল
সম্পাদকঃ হাবিবা সুলতানা