টপ নিউজ ডেস্ক: আজ বাংলাদেশের সিলেট-সুনামগঞ্জে যে বন্যা চলছে তা ১২২ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বণ্যা বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। গত শনিবার (১৮ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের ১০ জেলার ৬৪ উপজেলা বন্যার কবলে পড়েছে। সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে, উদ্ধার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চালাবে তারা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৬ ও ১৭ জুন ৪ ফুট করে ৮ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এ অঞ্চলে । আশা করা হচ্ছে মঙ্গল ও বুধবার থেকে পানি কমে সিলেট ও সুনামগঞ্জে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি চরম দুর্ভোগ বয়ে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মৌসুমের তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি এ দুই জেলায় সেনাবাহিনীও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
হাওরের আরেক জেলা নেত্রকোণাও ডুবগেছে বন্যার পানিতে; শনিবার নতুন করে বানের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে জেলার সদর, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলা। আগেরদিন কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলার বেশ কিছু জায়গা ডুবে যায়।
অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, বগুড়া, গাইবান্ধা, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুরের নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়ে বহু পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। কেউ কেউ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছে। কেউবা নৌকায় উঠেছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য ৩২ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জানিয়ে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর বলেন, সুনামগঞ্জ ও সিলেটে এই পর্যন্ত ৮০ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে। জিআর থেকে ২০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।