নওগাঁ প্রতিনিধিঃ জানা যায় গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে নওগাঁ মহাদেবপুর নওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ডিউটিতে ছিলেন, টমটম গাড়ি চালক মো.মোশাররফ হোসেন, তাকে জোর করে মাদক কিনতে বাধ্য করেন নওহাটা ফাঁড়ির উপপরিদর্শক উত্তম কুমার বিশ্বাস।
অভিযোগকারী মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি নওগাঁ থেকে নওহাটা বিটে টমটম গাড়ি চালাই আমার রাতে পুলিশ ফাঁড়িতে ডিউটি পরে আমি একটু দেরি করেই রাত সাড়ে আটটায় পুলিশ ডিউটিতে যাই। গিয়ে দুজনকে দেখেছি বসে আছে, তারা কোথাও যাবে, এমন অবস্থায় আমাকে ফাঁড়ির বড় স্যার এসে বলে তোকে দুই পুড়া গাঁজা (মাদক) কিনে দিতে হবে। আমি বলি স্যার আমি গরীব মানুষ আমার কেউ নাই, আমি কোথায় থেকে গাঁজা কিনে দিব। আমি তো চিনি না তখন স্যার বললো আমার লোক তোকে চিনিয়ে দিবে। এরপর তারা স্বরুপপুরের মোড় দিয়ে ভিতরে নিয়ে যায় আমাকে। তাদের সাথে করে আমাকে নিয়ে গিয়ে যেখানে গাঁজা কিনতে হবে সেখানে গিয়ে ডাক দিল যে গাঁজা বিক্রি করে তাকে, কিছু সময় পর দরজা খুলে দিলে তখন তারা বলে দুই পুড়া মাল দাও, তখন ওই বেটিছল বলে বাবা তোমার কাকা মারা যাওয়ার পর থেকে ব্যবসা বাদ দিছি, আমি এখন আর ব্যবসা করি না। তখন বাসায় ডুকে তল্লাশী চালাইতে শুরু করে এর মাঝে এক স্যার আমাকে বলে তোমার গাড়িটা দেখে আস। আমি গাড়ি দেখতে গেলে তখন ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মোটর সাইকেল নিয়ে গিয়ে রেখেই দৌড়ে এসে বলে তোকে বাসায় ঢুকতে বলেছিলাম তুই ঢুকেছিলি? আমি না বলতেই আমাকে একটা স্ব-জোড়ে গালে চড় মারে মার খেয়ে আমার পুরো পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায়। ভূক্তভোগী জনায় সে এর বিচার চায়, ডিউটি করতে গিয়ে কেন তাকে দিয়ে জোর করে মাদক কেনানো হবে!
নওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক উত্তম কুমার বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি ১০০ টাকা দিতে চেয়েছি এবং বলেছি দুই পুড়া গাঁজা নিয়ে আসতে সে গাঁজা না নিয়ে আসায় রাগ করে চড় মেরেছি তবে তাঁর সঙ্গে সমঝতা হয়েছে।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিষয়টি জানলাম এভাবে কাউকে জোর করে মাদক কিনতে বাধ্য করার কথা নয়, তবে আমরা মাদক কারবারিদের ধরতে নতুন কৌশল অবলম্বন করি, হতে পারে এটা কোন কৌশলের অংশ।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা