টপ নিউজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পার করেছে মানবিক সংকটের চূড়ান্ত সীমা। সেখানকার লাখ লাখ বাসিন্দা নিয়ে রেখেছেন মৃত্যুর প্রস্তুতি। গাজায় এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইসরায়েলের নিরবিচ্ছিন্ন হামলায়। এর মধ্যে শিশু দুই হাজারের বেশি। এমন অবস্থায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার বাবা-মায়েরা শিশুদের নিয়ে হৃদয়বিদারক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
সিএনএন ও আনাদুলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, সন্তানদের শরীরের বিভিন্ন অংশে নাম লিখে রাখছেন ফিলিস্তিনি বাবা-মায়েরা। যাতে ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যু হলে সহজেই চিহ্নিত করা যায় লাশ। গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় নিহত হয়েছে এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে শিশু দুই হাজারের বেশি এবং ১১০০ এর বেশি নারী বলে জানিয়েছে ফিলিস্তের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় সংকট ক্রমশ বাড়ছে। ধারাবাহিকভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমন অস্থায় ফিলিস্তিনি বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের শরীরের বিভিন্ন অংশে নাম লিখে রাখছেন।সিএনএন গাজার আল আকসা হাসপাতালের মর্গের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কয়েকটি শিশু, তাদের শরীরে আরবীতে নাম লেখা ছিল।
এ বিষয়ে আল-আকসা মার্টিয়ারস হাসপাতালের প্রধান জানান, তারা বেশ কিছু শিশুর মরদেহ পেয়েছেন যাদের পা, পেট কিংবা শরীরের অন্যান্য অংশে নাম লিখে রেখেছিলেন মা-বাবারা। সন্তানের ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো কিছুই ঘটে যেতে পারে। বোমার আঘাতে মারা গেলে অনেক সময় শিশুদের মরদেহ দেখে চেনার উপায় থাকে না। এ ক্ষেত্রে চেনার উপায় হতে পারে কালো কালি দিয়ে শরীরে লিখে রাখা নাম।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করে মূলত চেষ্টা চালানো হচ্ছে একটি প্রজন্মকে পঙ্গু করে দেওয়ার।
সম্পাদনায়: শাহনাজ সাফা