টপ নিউজ ডেক্স: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে দুপুর সাড়ে ১২টায়।
বারডেম হাসপাতালের হিমাগার থেকে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে ফ্রিজিং ভ্যানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী সবার আগে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতৃবৃন্দ, রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ৷
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বহুবছর ধরে ভুগছিলেন কিডনি জটিলতায়। সম্প্রতি খারাপের দিকে যায় তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো। এর মধ্যে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় সোমবার। মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী পুলিশ কর্মকর্তা আর মা হাছিনা বেগম চৌধুরী গৃহিনী ছিলেন। ১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল এবং তা পরিচালনা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর সেই হাসপাতালের নামেই গড়তে চেয়েছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নাম ঠিক করেন।
হাসপাতালের পাশাপাশি জাফরুল্লাহ চৌধুরী ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিও গড়েছেন । ১৯৮২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ঔষধ নীতি প্রণয়নেও তার ভূমিকা ছিল।
সম্পাদনায়: শাহনাজ সাফা