টপ নিউজ ডেস্কঃ আজকাল যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শুধু কমবয়সীরা নয়, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন বয়স্করাও। তবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতন হওয়া উচিত।
কারণ বর্তমানে অধিকাংশ প্রতারকের মূল লক্ষ্যই হলো হোয়াটসঅ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই বিভিন্ন কোড কিংবা লিংক পাঠিয়ে আর্থিক প্রতারণার ফাঁদে ফেলার চক্র বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে আজকাল। এমনকি পরিচিতদের কাছ থেকেও আসা কোনো লিংক খোলার আগেও প্রয়োজন চিন্তা-ভাবনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ সমস্যাকে রুখতে সাইবার বিশেষজ্ঞরা তিনটি লক্ষণের কথা বলেছেন। যা দেখে আগে থেকে বোঝা যেতে পারে যে, আপনি কোনো প্রতারণার শিকার হতে চলেছেন কি না।
১। পরিচিত কিংবা অপরিচিত কারও কাছ থেকে আসা যেকোনো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় যদি অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেই বার্তা বা ম্যাসেজটি মুছে ফেলুন। বিশেষ করে যদি সেই মেসেজটিতে কোনো প্রকার ব্যাকরণগত বা ভুল থাকে বা কোনো রকম বানানগত ভুল থাকে সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে তা মোবাইল ফোন থেকে মুছে ফেলাই শ্রেয়।
২। এছাড়া অচেনা নম্বর থেকে যদি বিভিন্ন পুরস্কারের টোপ বা কোনো জিনিসের ওপর বিশেষ ছাড় দেয়ার মেসেজ আসে। অনেকেই তাতে আগ্রহী হয়ে সেই ফাঁদমূলক লিংকগুলো খুলে বসেন। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোভনীয় কোনো পুরস্কার বা ছাড়ের বার্তা পেলে, এমনকি তা যদি কোনো নামী সংস্থা থেকেও আসে, তাহলেও কখন সেই লিংকে ঢুকা যাবে না।
৩। হোয়াটসঅ্যাপে আসা মাত্রেই তাড়াহুড়োয় কোনো লিংক খুলা যাবে না। যদিবা, একান্তই দরকারি মনে হয় তবে সেক্ষেত্রে অন্য কোনো ব্রাউজারে গিয়ে লিংকটি খুলতে হবে।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা