টপ নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো কোটি কোটি অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছে নিজেদের আরো শক্তিশালী করতে। রাষ্ট্রগুলো অত্যাধুনিক সব পরমাণু অস্ত্রের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। কিন্তু এসব পরীক্ষা থেকে নির্গত অনেক বেশি মারাত্মক তেজস্ক্রিয় কণা’র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তেজস্ক্রিয়তার কারণে ক্যান্সার আক্রান্তের হার বাড়তে পারে এবং বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নিতে পারে।
২০০৯ সালের ২ ডিসেম্বর, বিশ্বের সকল মানুষের মধ্যে অস্ত্রবিরোধী সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ ২৯ আগস্টকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক পরীক্ষা বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়।
বর্তমান বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, চায়না, ভারত, পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রের উপস্থিতির ঘোষণা দিয়েছে। এখনো পারমাণবিক অস্ত্রের উপস্থিতি স্বীকার করে নি ইসরায়েল।
যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইতিহাস খুবই ভয়াবহ। জাপানে দুটি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ করা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমাতে ‘লিটল বয়’ নামের পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়। এর তিনদিন পর ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে ‘ফ্যাটম্যান’ নামক দ্বিতীয় বোমাটি নিক্ষেপ করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয় ভয়াবহ এসব বিস্ফোরণে। পরে আরো অনেকে মারা যায়। তেজস্ক্রিয়তার কারণে এখনো অনেক বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেয় সেইসব এলাকায়।
সেই ঘটনার পর পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় শত শতবার পরীক্ষামূলক ও প্রদর্শনের জন্য পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণের দাবি এসেছে অনেক আগে থেকেই। ১৯৪৬ সালে পরমানু অস্ত্রবিরোধী প্রস্তাব তোলা হয় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন থেকে।
১৯৫৯ সালে আন্তর্জাতিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব তোলা হয়। এরপর নিউক্লিয়ার নন-প্রোলিফারেশন ট্রিয়েটি বা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির পক্ষের রাষ্ট্রগুলো ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘে পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কে একটি রিভিউ প্রোগ্রাম চালু করে। যা প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এরপরও হাজার হাজার পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ আছে পরমানু শক্তিধর দেশগুলোর কাছে। বরং সেগুলোকে অত্যাধুনিক করার প্রক্রিয়া কোটি কোটি অর্থ খরচ করে চলছে।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা