টপ নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও এনজিওকর্মী প্রিয়া সাহা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ‘নালিশের’ সাড়ে ৪ বছর পর এবার সে ব্যাপারে মুখ খুললেন। বাংলাদেশ থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছে অনেক সংখ্যালঘু, ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই তিনি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় এমন মন্তব্য করেন। এরপরেই নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
গত শনিবার সেই মন্তব্য প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের’ এক সভায় প্রিয়া সাহা মুখ খুলেছেন। ট্রাম্পের কাছে কেন ওই মন্তব্য করেছিলেন তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষ মধ্যস্বত্বভোগী বা তালুকদার বা ছোট জমিদার ছিল। তাদের অনেক জমি ছিল। এখনো ৩০০ একর সম্পত্তি আমার বাপ-দাদাদের রয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে আমাদের জমি দখল করে খাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতারা বিষয়টি জানেন।’
তিনি বলেন, ‘একটি গ্রামকে কীভাবে সিস্টেম্যাটিকভাবে উচ্ছেদ করে আমাদের গ্রাম হলো তার একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ’জোরপূর্বক কেটে নেয়া হতো তাদের ফসল,দখল করা হয়েছে চিংড়ির ঘের, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে এবং গ্রামে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
২০১৯ সালে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা বলেছিলেন, ‘‘স্যার, আমি এসেছি বাংলাদেশ থেকে। ‘নিখোঁজ’ হয়ে গেছে সেখানকার ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান। দয়া করে সাহায্য করুন বাংলাদেশি জনগণকে। আমরা চাই না দেশ ছাড়তে, থাকতে চাই।’’ তবে এখনো প্রমাণিত হয়নি প্রিয়া সাহার ওই অভিযোগের কোনো সত্যতা।
সম্পাদনায়: তৌহিদ হাসান