টপ নিউজ ডেস্কঃ ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি এবং গ্যাস ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাবে দেশে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে কাগজ নিয়ে।
কাগজ নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে কম-বেশি সমস্যা থাকলেও এখন তা ধারণ করছে জটিল আকার। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, আগামী দুই মাস চরম পর্যায়ে সংকট থাকবে।
কাগজ শিল্প সংশ্লিষ্টদের অনেকে বলছেন, এই সমস্যা দীর্ঘায়িত হবে যদি ডলার সংকট না মিটে এবং লেখা ও ছাপার কাগজে শুল্কহার না কমে। অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বাড়ায় বাড়বে কাগজের দামও।
কাগজ কল মালিকপক্ষ বলছে, দেশে কাগজ সংকটের এই সময় পাঠ্যবই ছাপার জন্য প্রায় এক লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টন কাগজের চাহিদা রয়েছে সরকারের। এছাড়া বছরের শেষ দিকে ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার ছাপানোর জন্যও কাগজের বাড়তি চাপ আছে। এই পরিস্থিতিতে শুল্কমুক্ত আমদানির অনুমতি চেয়েছে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে ডলার খরচ করে সরকার কাগজ আমদানি করতে দেবে না। সরকার দেশের কাগজ কলগুলোকে সরবরাহ নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানিয়েছে।
এদিকে কাগজ কল মালিকরা লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে না পারায় ‘অফসেট’ কাগজ বা উন্নত কাগজের জন্য ভার্জিন পাল্প আমদানি করতে পারছেন না। তাই কাগজ চাহিদা মতো সরবরাহও করতে পারছেন না তারা। রিসাইকেল করে যারা কাগজ (নিউজপ্রিন্ট) ভার্জিন পাল্প ছাড়া উৎপাদন করেন, চাহিদার তুলনায় তা খুবই কম। পাশাপাশি বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচও।
সম্পাদনায়ঃ হাবিবা সুলতানা