সর্বশেষ

29.7 C
Rajshahi
সোমবার, মে ৬, ২০২৪

প্রেমের জেরে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

টপ নিউজ ডেস্কঃ প্রায় ১৭ মাস পর কলেজছাত্র রাকিব হোসেনকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ৫ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারের পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত তারই বন্ধু আরিফুল ইসলাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনাটি খাগড়াছড়ির পানছড়ির। নিহত রাকিব হোসেন পানছড়ি থানার আলীনগর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার খাগড়াছ জবানবন্দিতে আরিফুল জানান, নিহত রাকিব তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। কলেজে পড়ার সময় স্থানীয় রিপন মেম্বারের মেয়ের সঙ্গে রাকিবের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের বিষয়টি জেনে যান মেম্বারের ছেলে আবুল হোসেন। এরপর তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী রাকিবকে হত্যায় অংশ নেন তারই বন্ধু আরিফুল।

২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পানছড়ি বাজারে রাকিবের সঙ্গে দেখা করেন আরিফুল। পরে বাড়ি ফেরার জন্য তারই মোটরসাইকেলে রওনা দেন আরিফুল। দুইজনের বাড়ি পাশাপাশি। তবে আরিফুলের বাড়ি একটু আগে হওয়ায় মোটরসাইকেল থেকে নেমে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে খবরটি ভাড়াটিয়া খুনি তুলা মিয়াকে জানিয়ে দেন তিনি।

এদিকে, মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল কনকবাগানের দক্ষিণ পূর্ব কোণে পৌঁছলে চারজন সহযোগী নিয়ে তুলা মিয়া রাকিবের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে রাকিব মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান। আহত অবস্থায় দৌড়ে আরিফুলের বাড়িতে গিয়ে লুটিয়ে পড়েন।

পরিবারের সদস্যরা মাথায় গামছা দিয়ে বেঁধে দেন। এরপর প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরদিন ২০ জানুয়ারি ভোরে মারা যান রাকিব।

এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে পানছড়ি থানায় মামলা করেন রাকিবের বাবা আলী হোসেন। পরে মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দেন।

এরপর বাদীর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে অধিকতর তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে চট্টগ্রাম পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসআই পরিতোষ দাশ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান।

তিনি বলেন, ‌গত ৫ সেপ্টেম্বর পানছড়ি বাজার থেকে আরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হয়েছে। হত্যায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

সম্পাদনায়ঃ শাহাদাত হোসাইন

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles