সর্বশেষ

36.4 C
Rajshahi
শনিবার, মে ৪, ২০২৪

বাদশাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, উত্তপ্ত রাবি ক্যাম্পাস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী—শাহরিয়ারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবহেলা ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে ক্যাম্পাস। সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশার গতকাল দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে নয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো: ১. শাহরিয়ারের মৃতদেহের পাশে অবস্থানকালে তার সহপাঠীদের উপর নৃশংস হামলায় এবং হত্যাচেষ্টায় জড়িত ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় এবং আনসারদের অতিদ্রুত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি আইনের আওতায় আনা। ২. রামেকের ডিরেক্টরের অপসারণ ৩. রামেকের অব্যবস্থাপনা ও জরুরি মুহুর্তে ফর্মালিটিজের নামে সাধারন মানুষের হয়রানি, চাঁদাবাজি এবং ক্লিনিকগুলোর সাথে যোগসাজশ বন্ধ করা। ৪. রামেকে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট অপসারণ ৫. সাংসদ বাদশার বেশামাল, অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য প্রত্যাহার। ৬. ইন্টার্ন ডাক্তারদের স্বেচ্ছাচারীতা, রোগী এবং রোগীর অভিভাবকদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ পরিহার এবং মানবিক ও আন্তরিক হওয়া৷ ৭. জরুরী বিভাগে সিনিয়র ডাক্তারদের উপস্থিতিতে জরুরী চিকিৎসা নিশ্চিত করা। ৮. আইসিইউ ব্যবস্থা সহজতর করা ৷ ৯. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির কাছে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরা।

ফজলে হোসেন বাদশাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

মানববন্ধনের পর শিক্ষার্থীরা একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে। মিছিলটি প্যারিস রোড হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে এসে মিলিত হয়। নানা স্লোগানে শিক্ষার্থীরা রামেক হাসপাতালের অনিয়ম ও হামলার প্রতিবাদ করে। সেই সাথে সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশার অনাকাঙ্খিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

রামেকের বিরুদ্ধে রাবি প্রশাসনের অভিযোগ দায়ের

এদিকে শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামেক হাসপাতালের মামলার পর, রাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগরীর রাজপাড়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা মাহেদুল ইসলাম।
এই কর্মকর্তা জানান, গত ১৯ অক্টোবর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ও পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলার জন্য থানায় যে অভিযোগ দিয়েছিল, তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী— শাহরিয়ার হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে, রাবি শিক্ষার্থীরা শাহরিয়ারের তড়িৎ চিকিৎসা গ্রহণের দাবি জানায়। কিন্তু ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর রামেক ইন্টার্ন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা চালায় বলে জানায় তারা।

-সৈয়দ সাকিব (রাবি প্রতিনিধি)

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles