টপ নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান চলছে প্রায় দুই বছর ধরে। দীর্ঘ এই সময় ধরে পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর সহায়তায় রুশ আগ্রাসন মোকাবিলা করে আসছে কিয়েভ। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশে বসবাসকারী পুরুষ নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছে ইউক্রেন।
এমনকি যদি প্রবাসী নাগরিকদের কেউ সেনাবাহিনীতে যুক্ত হতে না চান তাহলে শাস্তির মুখে পড়ার ঝুঁকিও রয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বিদেশে বসবাসকারী ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী ইউক্রেনের পুরুষ নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য রিপোর্ট করতে বলা হবে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ । রুস্তেম উমেরভ এটিকে ‘আমন্ত্রণ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তবে কেউ এটা না মানলে তাকে নিষিদ্ধ করা হবে বলে মনে হচ্ছে।
তবে পরে একজন মুখপাত্র বিষয়টা স্পষ্ট করে বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীতে চাকরি জন্য কাউকে ডেকে পাঠানো বা তলব করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, তার দেশের সাড়ে চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ নতুন সৈন্য প্রয়োজন। কিন্তু এটি অর্জন করা ‘খুব কঠিন’।
বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পাল্টা আক্রমণ থমকে গেছে বলে মনে হচ্ছে। গত নভেম্বরে ইইউ পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে বিবিসি ইউক্রেনীয় দেখেছে- রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী প্রায় ৭ লাখ ৬৮ হাজার ইউক্রেনীয় পুরুষ দেশ ছেড়েছে।
ইইউয়ের বাইরে বসবাসকারী নাগরিক বা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির আগে থেকে বিদেশে বসবাসকারী ইউক্রেনীয়রা এই পরিসংখ্যানের অন্তর্ভুক্ত নয়। ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ এই নিয়োগ কর্মকাণ্ডকে ‘শাস্তি নয়’ বরং ‘সম্মান’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
সম্পাদনায়: মো: আরিফুল ইসলাম