সর্বশেষ

29.5 C
Rajshahi
বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

মনতাস্তিক খেলায় জয় প্রাইম ব্যাংক কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের

টপ নিউজ ডেক্সঃ আবাহনী লিমিটেড লিগ পর্ব শেষে শীর্ষে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের চেয়ে ৪ পয়েন্ট কম নিয়ে সুপার লিগ শুরু করে। শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকতে প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ তাদের। সঙ্গে প্রার্থনা করতে হবে শেখ জামালের পরাজয়। এতসব সমীকরণ মেলাতে গিয়ে সুপার লিগের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছে আবাহনী। প্রাইম ব্যাংকের স্পিন বিষে নীলআবাহনী।

মিরপুরে দুই দলের লড়াইয়ে আগে ব্যাট করে ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের আরো একটি অর্ধশতকে স্কোর বোর্ডে ২৭৩ রানের পুঁজি পায় প্রাইম ব্যাংক। ২৭৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে প্রাইম ব্যাংকের চার স্পিনার তাইজুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, নাসির হোসেন আর শেখ মেহেদী হাসানকে সামলাতে গিয়ে কুপোকাত আবাহনী। সর্বশেষ তিন আসরের চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস থামে ১৩১ রানে। এতে ১৪২ রানের বিশাল জয় পায় প্রাইম ব্যাংক।

মিরপুরের উইকেটের চরিত্র আগেই ধরতে পেরেছিলেন প্রাইম ব্যাংকের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এজন্য নিজেদের একাদশে মাত্র একজন পেসার নিয়ে নামেন তিনি। তারই ফল তুললেন প্রতিপক্ষকে স্পিন বিষে ঘায়েল করে। ২৭২ রান টপকাতে নেমে বড় কোনো পার্টনারশিপ গড়তে পারেনি আবাহনী লিমিটেড। ৩৪ রানেই হারিয়ে বসে শুরুর ৫ ব্যাটসম্যানকে। ওপেনার জাকের আলী রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। শূন্য রানে আউট হন দলটির বিদেশি রিক্রট ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। নাজমুল হোসেন শান্ত ৪, আফিফ হোসেন ৫ আর লিটন দাস আউট হন ২৩ রান করে। ৫ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক মোসাদ্দেকের ব্যাটে কেবল পরাজয়ের অপেক্ষাটা দীর্ঘ হয়েছে আবাহনীর। অর্ধশতক করা মোসাদ্দেক ফেরেন ৬৫ রানে। আবাহনীর ইনিংস থামে ১৩১ রানে। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে নাসির আর রাকিবুল ৩টি করে উইকেট নেন। বাকি ৪ উইকেট ভাগাভাগি করেন তাইজুল আর শেখ মেহেদী। একমাত্র পেসার রেজাউর রহমান রাজা মাত্র ২ ওভার বল করেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংককে দুর্দান্ত শুরু এনে দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও শাহাদাত হোসেন দীপু। তাদের ৯৭ রানের জুটি ভাঙে দীপু আউট হলে। দীপু করেন ৫১ বলে ৩৮ রান। মুমিনুল হকের অফ-ফর্ম এখনো অব্যাহত আছে। ১২ বলে ৮ রান করে মোসাদ্দেকের বলে বিদায় নেন টেস্ট ক্যাপটেন। বিজয় আউট হন আরও একটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৭ রান। ৮৫ বল মোকাবেলার পথে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান বিজয়। নাসির বিদায় নেন দ্রুতই। ১২ বলে করেন ৬ রান। ১৫৪ রানে চার উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। পঞ্চম উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিঠুন ও ইয়াসির আলি। মিঠুন ৫৯ বলে ৪৪ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। ইয়াসির করেন ৪৩ বলে ৪৩ রান। শেখ মেহেদী ২৭ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে প্রাইম ব্যাংক উইকেট হারায় নয়টি, সংগ্রহ করে ২৭৩ রান।

সম্পাদনায়ঃ শাহাদাত হোসাইন

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles