টপ নিউজ ডেস্ক: মহানবী (সা.) এর সুমহান আদর্শ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে রাষ্ট্রপতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, নবীকূলের শিরোমণি, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য। মহান আল্লাহ তা’আলা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে প্রেরণ করেন ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ তথা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে। দুনিয়ায় ‘সিরাজাম মুনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে তার আগমন ঘটেছিল।
তিনি বলেন, তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে মানুষকে আলোর পথ দেখান তিনি এবং সত্য, সুন্দর ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লাহর প্রতি অসীম ও অতুলনীয় আনুগত্য ও ভালোবাসা, তার অনুপম চারিত্রিক গুণাবলি, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য তিনি অভিষিক্ত সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে । এজন্য তার জীবনকে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ। তিনি ছিলেন প্রস্তরকঠিন সত্য ও ন্যায়ে কিন্তু ক্ষমা ও দয়ায় সরল। তার প্রতিটি কথা ও কর্মই অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় মানবজাতির জন্য।
মো. সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, মহান আল্লাহ রাববুল আলামিন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর পবিত্র কোরআন সর্বশেষ মহাগ্রন্থ অবতীর্ণ করে অর্পণ করেন জগতে তওহিদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন অসীম ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে এবং সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেন এ মহাগ্রন্থের মর্মার্থ। তিনি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা এবং মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে। তার বিদায় হজের ভাষণ চিরকালীন দিশারী হয়ে থাকবে সমগ্র মানবজাতির জন্য।
বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদীনা সনদ’ ছিল প্রকৃষ্ট দলিল মহানবী (সা.) এর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ দলিলে সর্বজনীন ঘোষণা রয়েছে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় তার শিক্ষা।
সম্পাদনায়: শাহনাজ সাফা
