টপ নিউজ ডেস্ক : রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনের কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা কর্মসূচী আইটেক-২০২৩ দিবস উদযাপন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহীর স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে দিবসটি উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ বিধান চন্দ্র রায়। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার শ্রী মনোজ কুমার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান বিপ্লব বিজয় তালুকদার।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডঃ বিধান চন্দ্র রায় বলেন, “ভারত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। আর বাংলাদেশের পাচশোর অধিক পেশাজীবী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মচারী ভারতে বিশেষ প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছেন, এটা দারুন ব্যাপার”। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে ডঃ বিধান আরো বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুবই চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া সমতা বিশ্বাস ও সার্বভৌমত্বের সম্পর্কও এখানে বিদ্যমান। রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার শ্রী মনোজ কুমার বলেন, বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র এবং কই সঙ্গে ভারতের উন্নয়ন সহযোগী। দুই দেশের মধ্যে ইতিহাস সংস্কৃতি ভাষা ও ঐতিহ্যের পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে দু-দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছে”।
এসময় মিঃ মনোজ আরো উল্লেখ করেন যে, সুবর্ণ জয়ন্তী স্কলারশীপের অধীনে প্রতিবছর বাংলাদেশ আইটিসির জন্য ৫০০ টি ডেডিকেটেড স্লট পায়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু টেইলার মেড প্রোগ্রাম রয়েছে যা বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে। আইটেক-২০২৩ দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথিদের পাশাপাশি আইটেক এলামনাইদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ভারতে তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। পরে সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।উল্লেখ্য যে, ১৯৬৪ সাল থেকে ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা কাঠামোর আওতায় ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইটেক কর্মসূচি প্রচলিত হয়। এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা এবং যথাযথ প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদান করা হয়।