সর্বশেষ

42.3 C
Rajshahi
রবিবার, মে ৫, ২০২৪

শান্তির প্রতিশ্রুতির পর নতুন হামলা শুরু রাশিয়ার

ইউক্রেনের চেরনিহিভ অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, ঐ এলাকায় রাশিয়ার হামলার তীব্রতা এখনও কমেনি। যদিও ঐ এলাকায় সামরিক কার্যক্রম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মস্কো।

গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ চাউস এক টেলিগ্রাম বার্তার মাধ্যমে রুশ প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করেন। চেরনিহিভ অঞ্চলে রাশিয়া রাতভর বোমা বর্ষণ করেছে এ দাবি করে তিনি লেখেন, ‘আমরা কি এতে (রুশ প্রতিশ্রুতির উপর) বিশ্বাস রাখবো? অবশ্যই না।

মঙ্গলবার রাশিয়া জানিয়েছে চেরনিহিভ এবং রাজধানী কিয়েভ অঞ্চলে অভিযানের তীব্রতা কমানো হবে। তবে বুধবার প্রথম প্রহরেই কিয়েভে বিমান হামলার সাইরেন শোনা যায়।


ইউক্রেনের চেরনিহিভ অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, ওই এলাকায় রাশিয়ার হামলার তীব্রতা কমেনি। যদিও ওই এলাকায় সামরিক কার্যক্রম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মস্কো।

গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ চাউস এক টেলিগ্রাম বার্তায় রুশ প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করেন। চেরনিহিভ অঞ্চলে রাশিয়া রাতভর বোমা বর্ষণ করেছে দাবি করে তিনি লেখেন, ‘আমরা কি এতে (রুশ প্রতিশ্রুতি) বিশ্বাস রাখবো? অবশ্যই না।’

মঙ্গলবার রাশিয়া জানায় চেরনিহিভ এবং রাজধানী কিয়েভ অঞ্চলে অভিযানের তীব্রতা কমানো হবে। তবে বুধবার প্রথম প্রহরে কিয়েভে বিমান হামলার সাইরেন শোনা যায়।

কিয়েভের ডেপুটি মেয়র মাইকোলা পোভোরোজনিক জানিয়েছে, রাজধানীতে রাতভর বোমা বর্ষণ হয়নি, কিন্তু আশেপাশের এলাকা থেকে  লড়াইয়ের বন্দুকের গুলির শব্দ শোনা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছে, কিয়েভ এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। তাদের ধারণা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে মনোনিবেশ করতেই এসব সেনা পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে।

রাশিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্ডার ফোমিন জানিয়েছে, শান্তি আলোচনায় পারস্পারিক বোঝাপড়া বাড়াতেই মস্কো ধারাবাহিকভাবে সামরিক কর্মকাণ্ড কমাবে।

মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যুদ্ধের অবসানের লক্ষে তিন ঘণ্টা আলোচনা করেন মস্কো ও কিয়েভের প্রতিনিধিরা। সে সময় ইউক্রেন নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। বিনিময়ে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চায় তারা। রুশ আগ্রাসনের একটি অন্যতম লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়া থেকে বিরত রাখা। রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আলোচনাগুলো ব্যবহারিক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

সামরিক কর্মকাণ্ড কমানোর রুশ প্রতিশ্রুতি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয়রা মোটেও নির্বোধ মানুষ নয়।’ তিনি বলেন, শান্তি আলোচনার প্রাথমিক ইঙ্গিতটি  ইতিবাচক।

আবার সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে অন্য দেশগুলো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘কোনও পদক্ষেপ দেখার আগে আমি এর কোন কিছুই পড়ে দেখবো না’।  যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালির নেতারাও জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাখা পাহারা এখনই প্রত্যাহার করা হচ্ছে না।

সূত্র: বিবিসি

সম্পাদনা: নাসরিন ইসলাম

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles