টপ নিউজ ডেস্ক: মারা গেছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের সহধর্মিণী অধ্যাপক পান্না কায়সার। শুক্রবার সকাল ১০টায় তার মৃত্যু হয় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে। তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।
১৯৫০ সালের ২৫ মে রাজনীতিবিদ শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সারের জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর করা এই শহীদ জায়া বেগম বদরুন্নেসা কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তাল সময়কালে শুরু করে শহীদুল্লাহ কায়সারের হাত ধরে তার প্রায় সাড়ে চার দশকের পথচলা আধুনিক সাহিত্যের, বাঙালি সংস্কৃতি আর প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শহীদুল্লাহ কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। এরপর তিনি আর ফেরেননি। এরপর থেকে পান্না কায়সার একা হাতে মানুষ করেছেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে।
সংসার জীবনে আবদ্ধ না থেকে লাখো কোটি শিশু-কিশোরকে সোনার মানুষে পরিণত করার দায়িত্ব নিয়েছেন পান্না কায়সার। ১৯৭৩ সালে সদস্য হন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’ এর সভাপতিমণ্ডলীর। ১৯৯২ সাল থেকে তিনি দায়িত্বে আছেন সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের। সাথে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতিও।
১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে পান্না কায়সার আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা, গল্প-উপন্যাস মিলিয়ে তিনি সাড়া জাগানো বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচয়িতা। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখায় ২০২১ সালের তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
সম্পাদনায়: শাহনাজ সাফা