সর্বশেষ

35 C
Rajshahi
বুধবার, মে ১৫, ২০২৪

সুদানে ‘সড়কে পড়ে থাকা মৃতদেহ খাচ্ছে কুকুরে’

টপ নিউজ ডেক্স: সুদানের রাজধানী খার্তুমের দখল নিয়ে সাত সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চলার পর শহরের বাসিন্দারা এমন এক সমস্যার মধ্যে পড়েছেন আগে যা তারা কল্পনাও করেননি। শহরের রাস্তায় রাস্তায় যেসব মৃতদেহ পড়ে আছে বুঝে উঠতে পারছেন না সেগুলোর ব্যাপারে তারা কী করবেন।

একজন বলেন,“একটা কুকুর কামড়ে কামড়ে মৃতদেহ খাচ্ছে- এই দৃশ্য দেখেন তিনি ঘরের দরজা খুলে ।”

যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কতো মানুষ মারা গেছে কেউ জানে না এই হিসাব। কিন্তু ধারণা করা হয় এক হাজারেরও বেশি এই সংখ্যা যাদের মধ্যে বহু বেসামরিক মানুষও রয়েছে। সুদানে সামরিক বাহিনীর দুটো গ্রুপের মধ্যে চলছে এই লড়াই। র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফ নামের একটি আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত সেনাবাহিনী লড়ছে সাত সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে।

এই দুটো গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফার যুদ্ধবিরতির পরেও ঘর থেকে বের হয়ে কবরস্থানে যাওয়া রাজধানীর লোকজনের জন্য অনেক বেশি বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি কম করে হলেও কবর দিয়েছে ২০ জনকে। তিনি আরও জানান,“পচে যাচ্ছে গরমে রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো। খার্তুমের কিছু কিছু এলাকা এখন পরিণত হচ্ছে কবরস্থানে।” যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সুদানে ঠিক কতো সংখ্যক লোককে বাড়ির ভেতরে এবং বিভিন্ন বসতি এলাকায় কবর দেওয়া হয়েছে তার কোনো হিসেব নেই সরকারিভাবে।

এরকম আরেকজন বিবিসিকে বলেছেন যে তিনি রাজধানী খার্তুম থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে শাম্বাত শহরে সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্যকে কবর দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন “তার দায়িত্ব এই কবর দেওয়াটা। এটা একটা দাতব্য কাজ। এসব মৃতদেহ কবরস্থানে নিয়ে যেতে  লেগে যেতে পারে কয়েকদিন এবং চোরাগোপ্তা হামলাকারীরা ছড়িয়ে আছে সর্বত্র।

ডক্টরস ইউনিয়নের প্রধান ড. আত্তিয়া আব্দুল্লাহ আত্তিয়া বলছেন, ভালো উদ্দেশ্যে এসব মরদেহ কবর দেওয়া হলে, এই উদ্যোগ যুদ্ধাপরাধের তথ্যপ্রমাণ বিনষ্ট করে দিতে পারে অনিচ্ছাকৃতভাবে।

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন , এধরনের “অপেশাদার” উপায়ে কবর দেওয়ার কারণে “সত্য চাপা পড়ে” যেতে পারে। তিনি আরো বলেন এর ফলে লোকজন কী কারণে নিহত হলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে তার তথ্যপ্রমাণ। চিহ্নিত করতে হবে  মরদেহকে এবং যথাসময়ে ও মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে দাফন করতে হবে  সেগুলোকে।

তিনি মনে করেন, লোকজনের কবর দেওয়ার পরিবর্তে এই প্রক্রিয়া ছেড়ে দেওয়া উচিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, রেড ক্রস এবং সুদানি রেড ক্রসের হাতে।

দুজন স্বেচ্ছাসেবীই বলেছেন নিহত ব্যক্তিকে কবর দেওয়ার আগে তারা তার মুখ এবং দেহের ছবি তুলে রাখেন কারণ তারা মনে করেন ভবিষ্যতে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার ব্যাপারে কাজে লাগতে পারে এসব।

ড. আত্তিয়ার সমালোচনা স্বত্বেও, লোকেরা বলছেন সরকারি স্বাস্থ্য অবকাঠামো ভেঙে পড়ার কারণে তাদের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই এভাবে কবর দেওয়া ছাড়া ।

সম্পাদনায়: শাহনাজ সাফা

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles