সর্বশেষ

36.5 C
Rajshahi
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

১১ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের থেকেও ভয়াবহ পরিস্থিতি ভূমিকম্পের দ্বারা তুরস্কের

টপ নিউজ ডেস্কঃ তীব্র ভূমিকম্পের ধ্বংসের নগরিতে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল পরিণত হয়েছে । তুরস্কে সেনাবাহিনীসহ হাজার হাজার উদ্ধারকর্মী চালিয়ে যাচ্ছে মরদেহ ও জীবিতদের উদ্ধারে কাজ ।

তবে একই ঘটনা সিরিয়ায় হলেও সেখানের পরিস্থিতি ভিন্ন অনেকটাই । ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এমন কয়েকটি অঞ্চল দেশটির সরকারের নেই নিয়ন্ত্রণে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল প্রতিবেশী তুরস্কে হলেও সিরিয়াতেও মারা গেছে বহু শত মানুষ। এই দুর্যোগের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের উঠে আসছে ভিডিও এবং ছবি । আলেপ্পোর উত্তর-পশ্চিমে এক শহর থেকে পাওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে ভবনগুলি ধসে পড়ার সাথে সাথে ধুলোর বিশাল মেঘের মধ্য দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে বাসিন্দারা এবং চিৎকার করছে।

ভূমিকম্পে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকা নেই সরকারি নিয়ন্ত্রণে। তাই সেখানে চিকিৎসা সেবা এবং জরুরি সরবরাহের সুযোগ সীমিত। সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করা একটি ত্রাণ সংস্থা আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হেলমেট জরুরি সাহায্যের । বিদ্রোহীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে দামেস্ক সরকার এবং উদ্ধারকর্মীদের পরিসংখ্যান অনুসারে সিরিয়ায় দেড় হাজারের বেশি নিহত এবং প্রায় চার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায়, দুর্গম অঞ্চল হওয়ায় ও উদ্ধার তৎপরতা ধীর গতিতে চলায় সঠিক ক্ষয়ক্ষতি জানা সম্ভব হচ্ছে না।

সিরায়ার আলেপ্পো, হামা এবং লাত্তাকিয়াসহ কয়েকটি অঞ্চলে হয়েছে ব্যাপক ক্ষতি। তুরস্ক ও সিরিয়া উভয় দেশ দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ১১ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে আগে থেকেই ধ্বংসাবস্থায় রয়েছে তুরস্ক। তার মধ্যে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।

এরই মধ্যে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে বিশ্বনেতারা যোগাযোগ করেছেন। আসাদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। জাতিসংঘ সিরিয়ার সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করছে। জাতিসংঘের একজন শীর্ষ মানবিক কর্মকর্তা বলেছেন যে, জ্বালানীর ঘাটতি এবং কঠোর শীতের আবহাওয়া বাধাগ্রস্ত করেছে উদ্ধারকাজ ।

সম্পাদনায়ঃ পূরবী রায় ।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles