টপ নিউজ ডেস্কঃ গণমাধ্যমকর্মী আইনে যেসব জায়গায় সাংবাদিকদের আপত্তি আছে সেগুলো সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আইনটি এখন সংসদীয় কমিটিতে আছে। যেহেতু এ আইনের বেশ কিছু ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহল আপত্তি তুলেছেন তাই এগুলো নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সঙ্গে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, মালিক পক্ষ এবং প্রয়োজনে আমি থেকে সবার মতামত নিয়ে আইন করব একটি গ্রহণযোগ্য।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিউটিটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত ‘সম্প্রচার সাংবাদিক সুরক্ষা প্রতিবেদন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আশ্বাস দেন।
মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। এখানে যেসব সমস্যা রয়েছে সবার মতামত নিয়েই সমাধান করা হবে। এ আইনটি আপনাদের সুরক্ষার জন্য করা হচ্ছে। এখন আপনারাই যেহেতু এ আইনের কিছু ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন সেহেতু এগুলোর নিষ্পত্তি করেই আইন করা হবে।
এই আইন তথ্য মন্ত্রণালয় করেছে, তারপরও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সবার মতামত নিয়ে যেন আইনটি হয়, সেটি আমি করব। আইনমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম সেক্টর এখন যথেষ্ট পরিপক্ক সেক্টর। তাই এখানে আইন, রেগুলেটরি বডি করার সময় এসেছে। তাই আমি আপনাদের স্বার্থে আইন করার পক্ষে। এজন্য প্রয়োজন সবার সহযোগিতা।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল, সেগুলোর সমাধান করা হচ্ছে। যেসব সমস্যা ছিল সেগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করার চেষ্টা করছি। এসময় মন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, সম্প্রতি এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা গ্রহণের আগে পুলিশের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন, তিনি মামলাটি নেবেন কি না। আমি তখন মতামত দিয়েছি। এটাও একটা অগ্রগতি। আগে পুলিশ মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করত।
অনুষ্ঠানে বিজেসির পক্ষ থেকে দেশের ২৩টি টেলিভিশন চ্যানেলের কর্মীদের মৌলিক প্রাপ্যতা ও সুরক্ষা নিয়ে একটি জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়। সেখানে জানানো হয়, মাসের ১০ তারিখের মধ্যে নিয়মিত বেতন হয় মাত্র ৮ শতাংশ স্টেশনে।
আর উৎসব ভাতা পায় ৫০ শতাংশ। ১৩টি স্টেশন ছাটাই করে কোনো নোটিশ ছাড়াই কর্মী । সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হলে ব্যয় বহন করে না ১৮টি টেলিভিশন। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি দেওয়া হয় না ১১ ভাগ টেলিভিশনে। অর্জিত ছুটি দেয় না বেশিরভাগ টেলিভিশন।
সম্পাদনায়ঃ পূরবী রায় ।