মান্দা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের সীমান্ত সংলগ্ন নওগাঁ জেলার মান্দার চৌবাড়িয়া পশুহাটে অতিরিক্ত (টোল) খাজনা আদায়ের নামে ইজারদারের লোকজন রীতিমতো চাঁদাবাজি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল শুক্রবার সরেজমিনে পশুগরুর হাটে গিয়ে অতিরিক্ত টোল আদায়ের সত্যতা মিলেছে পশুহাট ইজারদারের লোকজন সরকার নির্ধারিত (টোল) খাজনা থেকে অতিরিক্ত প্রায় দ্বিগুন হারে টোল আদায়ের নামে সরব চাঁদাবাজি করছে।
সূত্র জানায়, সরকারিভাবে প্রতিটি গরু ও মহিষের জন্য ৫০০ টাকা এবং ছাগল ও ভেড়ার জন্য সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা হারে টোল (হাসিল) নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু চৌবাড়িয়া পশুহাটে গরু-মহিষ প্রতি মোট ৮২০ আট শ বিশ টাকা ও ছাগল-ভেড়া প্রতি ৫২০ পাঁচ’শ বিশ টাকা আদায় এছাড়াও লিখনির জন্য আরো অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে ইজারদারের লোকজন চাঁদা আদায় করছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে রশিদে পশু বিক্রির মূল্য উলে-খ থাকলেও টোল আদায়ের টাকার অঙ্ক লিখা থাকেছে না।
আরো জানা যায়, চৌবাড়িয়া হাটের ইজারদার মুজ্জাফরের লোকজন টোল আদায়ের নামে সরব চাঁদাবাজি করছে। এসব চাঁদাবাজি নির্বিঘ্নভাবে করতে ইজারদার হাটের চার পাশে তাঁর অনুগতদের দিয়ে পাহারা বসিয়েছেন। সেই সব যুবকগণ বাঁশের লাঠি ও লোহার রড হাতে নিয়ে হাটের চারপাশে পাহারা দিচ্ছে। ফলে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি করা হলেও কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারছেন না। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত ও হাটে বিক্রি করতে নিয়ে আশা পশু আটক কখনও কেড়ে নেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
ইজারদার তাঁর ইচ্ছেমত হাটের (টোল) হাসিল বাড়ালেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে চৌবাড়িয়া হাটের ইজারদারকে (টোল) খাজনা তালিকা সংবলিত সাইনবোর্ড টাঙ্গানোর নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু চৌবাড়িয়া পশুহাটে সাইনবোর্ডের অস্থিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি তবে এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দায়িদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গরুর টোল বাবদ বেশী টাকা নেওয়া হচ্ছে কেনো বিষয় টি চৌবাড়িয়া হাটের ইজারাদার মোজ্জাফরের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটা হতে পারে আমিতো টোল আদায় করি না আমার লোকজন টোল আদায় করে। তবে এবিষয়ে চৌবাড়িয়া হাটে থাকা ইজারাদারের লোক লুৎফর বলেন,আমরা টাকা দিয়ে হাট নিয়েছি যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে টোল আদায় করবো।
সম্পাদনায়: হাবিবা সুলতানা