সোহেলরানারাজশাহীপ্রতিনিধি: চৈত্রের খরতাপে তেঁতে উঠেছে রাজশাহীসহ বিভিন্ন এলাকার পথঘাট। বাইরে বের হলে চোখ-মুখ যেন পুড়ে যাচ্ছে। মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে এরইমধ্যে। দুর্বিষহ গরম-খরা-অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের বোরো ধান। তীর্যক সূর্যদহনে যেন আগুন ঝরছে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলা গুলোতে।
৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজশাহী জেলার তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলায় সরোজমিনে ঘুরে দেখা যাই যে বোরো ধানের জমিতে পানি না থাকায় ধানের বিজ এখন শুকনো খড়ের মতো হয়ে আছে, শুধু তাই না পাঁকা রাস্তা গুলো দিয়ে আগুনের ধোঁয়া উঠছে।ওষ্ঠাগত গরমে হাঁসফাঁস করতে শুরু করেছে এখন রাজশাহী সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
মৌসুমের প্রথম তাপদাহেই হাঁপিয়ে উঠেছে প্রাণিকূল। এরই মধ্যে লু-হাওয়া বইছে এখানে। প্রতিনিয়তই বাড়ছে তাপমাত্রা। মধ্য চৈত্রের অস্বস্তিকর এই খরায় শহর ও গ্রামের দিনমজুর, শ্রমিক, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষের প্রাণবায়ু যেন যায় যায় অবস্থা। আর এই দাবদাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন রোগও ছড়িয়ে পড়ছে মানবদেহে। ডায়রিয়া, জন্ডিস, উচ্চরক্তচাপসহ অন্যান্য রোগের প্রকোপ যেমন বাড়ছে, তেমনি হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে কেউ কেউ। এ পরিস্থিতিতে ঘরে বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি। কংক্রিটের ছাদ হোক বা টিনের চালা; ওপর থেকে যেন আগুনই নামছে!
গরমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নাকাল হয়ে পড়েছে। একদিকে তাপদাহ আরেক দিকে গরম বাতাস। দুপুরের পর প্রধান প্রধান সড়কগুলো এমনিতেই জনশূন্য হয়ে পড়ছে। যত দিন গড়াচ্ছে তাপমাত্রা ততই বাড়ছে।
দুইদিন পড়ে শুরু হচ্ছে মাহে রমজান এখন এক পশলা বৃষ্টির জন্য সবাই যেন চাতক পাখির মতো আকাশের দিকে চেয়ে রয়েছে। আল্লাহর রহমতে এই দুই দিনের মধ্যে বৃষ্টি নামবে এটায় রাজশাহী সহ বিভিন্ন উপজেলার মানুষের আশা ও প্রর্তাশা।