টপ নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে অনেক অঞ্চল আছে যেখানে দীর্ঘদিন ধরে সূর্য ডোবে না বা সূর্য ওঠে না। পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের অনেকটা অংশজুড়েই গ্রীষ্মকালের একটা নির্দিষ্ট সময় সূর্য ডুবতে দেখা যায় না। ঠিক তেমনি শীতকালেও সুদীর্ঘ সময় ধরে সূর্য উঠতে দেখা যায় না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এসব অঞ্চলে যেহেতু নির্দিষ্ট সময় আক্ষরিক অর্থেই সূর্য ডুবতে বা উঠতে দেখা না যায়। তাহলে সে ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের মুসলিমরা ধর্মের রীতি অনুযায়ী সূর্য উদয় ও অস্তের সঙ্গে সময় মিল রেখে ইফতার-সেহেরি করেন কীভাবে?
দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন ডটকম ও আলজাজিরার অনুযায়ী, কয়েকটি দেশ ও কিছু কিছু অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সূর্য ডোবে না। সূর্য অস্ত গেলেও দেখা যায় দিনের আলো। এইসব দেশ ও অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে – নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, আলাস্কা, আইসল্যান্ড ও কানাডা। অথচ এসব দেশগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে সূর্য উদয় বা অস্ত না গেলেও সেখানকার মুসলমানরা রোজা পালন করে থাকেন।আলজাজিরার খবরে বলা হয়, এমন দেশগুলোর মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ পাশের দেশ যেখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়, সেই দেশের সেহেরি ও ইফতারের সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন করেন। অনেকেই আবার সৌদি আরবের মক্কা নগরের সময়ের সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন করেন। তারপরও এসব অঞ্চলের মুসলমানরা ১৭ ঘণ্টা রোজা করে।
অপরদিকে উত্তর গোলার্ধে বসবাসরত মুসলমানদের দিনের রোজার সময় কিছুটা কম হবে। বলা হয় ২০৩১ সাল পর্যন্ত এই সময় কমতে থাকবে। কারণ, এই অঞ্চলে পবিত্র রমজান শীত মৌসুমে হচ্ছে। এ সময় দিন এর সময়কাল সাধারণত ছোট থাকে। এরপর ২০৩১ সালের পর আবার রোজার সময়কাল বাড়তে থাকবে। দক্ষিণ গোলার্ধের চিলি বা নিউজিল্যান্ডের মতো দেশের মুসলমানরা দিনে প্রায় ১২ ঘণ্টা রোজা করে থাকে। এরকম সমস্যার কারণে এসব দেশের মুসলিমদের করণীয় সম্পর্কে ফতোয়া দিয়েছেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অব ফতোয়া অ্যান্ড রিসার্চ (ইসিএফআর)।
সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম