টপ নিউজ ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে রেলওয়ের দুই ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার) ও এক গার্ডের (পরিচালক) অবহেলায়। দায়িত্বে অমনোযোগী হওয়ার ফলে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। রেলওয়ের এক উচ্চপর্যায়ের কমিটির তদন্তে এই তিন রেলকর্মীর অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে দায়িত্ব পালনের সময় চালক ও গার্ডদের স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সুপারিশ জানিয়েছেন কমিটির সদস্যরা।
রেলের উচ্চপর্যায়ের এই তদন্ত কমিটি সম্প্রতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলামের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম।
গত ২৩ অক্টোবর ভৈরব রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া আন্তনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনে বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থল ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ মারা যান ।
এ দুর্ঘটনায় মালবাহী ট্রেনের চালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী চালক আতিকুর রহমান ও পরিচালক (গার্ড) মো. আলমগীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। নিহত এক ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে এই তিনজনকে আসামি করে রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও।
এখন স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ , তদন্ত কমিটি ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা রোধে আটটি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশ হচ্ছে দায়িত্ব পালনের সময় ট্রেনচালক ও গার্ডদের স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা। ট্রেনের লোকোমাস্টার ও সহকারী লোকোমাস্টারের সঙ্গে গার্ডের কথোপকথনের জন্য ওয়াকিটকি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আর ট্রেন অনুযায়ী কর্তব্যরত লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার ও গার্ডের নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বিশেষ ধরনের টেলিফোন সরবরাহ করা যেতে পারে।
সম্পাদনায়: মো: আরিফুল ইসলাম