টপ নিউজ ডেস্কঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় তারপর প্রেম এরপর বিয়ে এ যেন এক প্রতিনিয়ত ঘটনা। তারই ধারাবাহিকতায় ফেসবুকে পরিচয়ে ১০ বছরের সংসার ছাড়েন সাদিয়া আক্তার ইতি । কিন্তু দুই মাসের মাথায় লাশ হতে এই নারীকে। লাশসহ বাসা তালাবদ্ধ করে প্রেমিক মেহেদী হাসান নিজেই হাজির হন থানায়।
তার দেওয়া তথ্য অনুসারে, রাজধানীর কদমতলী মুরাদপুরের একটি টিনশেড বাসা থেকে রোববার দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনদের দাবী তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত সাদিয়া, স্বামী ও দুই সন্তান রেখে পিরোজপুরের নেসারাবাদ থেকে ঢাকায় প্রেমিক মেহেদীর কাছে চলে আসেন। ১০ বছরের সংসারে তার দুই সন্তান ছিল। সবকিছু ছেড়ে যে সাদিয়া নতুন সংসারের স্বপ্ন নিয়ে মেহেদী হাসানের কাছে আসেন, সে-ই কাল হলো তার জীবনে। গত ১০ জানুয়ারি থেকে কদমতলীর উত্তর মুরাদপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেছিলেন মেহেদী ও সাদিয়া। রোববার দুপুরে মেহেদী নিজে নিকটস্থ থানায় গিয়ে বলেন, সাদিয়া গলায় ফাঁস নিয়েছে। পরে পুলিশ তার বাসায় গিয়ে সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।
সাদিয়ার বাবা শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাদিয়াকে বাড়ি ফেরানোর অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু কাজ হয়নি। মেহেদী আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’
দুই মাস হলো গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর থেকে পালিয়ে এসে পিকআপ ভ্যানচালক মেহেদীর সঙ্গে মুরাদপুরের একটি ভাড়া বাড়িতে সংসার পেতেছিলন। স্বজনদের অভিযোগ, বনিবনা না হওয়ায় মেহেদী বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তাকে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ বলছে, এটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের জন্য ইতির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কদমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে জানান, এ ঘটনায় সাদিয়ার প্রেমিক মেহেদী হাসানকে (৩০) আটক করা হয়েছে। মেহেদী পেশায় একজন পিকআপচালক।
[su_button id=”download” url=”https://www.topnews24online.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a7%80-%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ab%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87/” style=”flat” size=”6″ wide=”yes” center=”yes”]Next Page[/su_button]