টপ নিউজ ডেস্ক: শনিবার জাপানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরশহর ইয়োকোহামার সাগরতীরে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবী। তাদের আসার উদ্দেশ্য একটিই— আর তা হলো সাগরের অগভীর পানিতে সামুদ্রিক ঘাস রোপণ করা।চারদিকে সমুদ্রপরিবেষ্টিত জাপান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থান রক্ষা করতে দেশজুড়ে সাগরের অগভীর পানিতে সামুদ্রিক ঘাস রোপণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সেই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইয়োকোহামায় এসেছিলেন এই স্বেচ্ছাসেবক দল।
বিশ্বের যেসব দেশে বাতাসে সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইডসহ অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ করে, জাপান তাদের মধ্যে অন্যতম। এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে দেশটি।জাপানের আয়তন যদিও খুব বেশি নয়— ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৫ কিলোমিটার মাত্র। ভৌগলিক আয়তনের হিসাব করলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের চেয়েও ছোটো জাপান। কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দীর্ঘতম কিছু সামুদ্রিক উপকূল রয়েছে দেশটিতে। জানা যায়, সামুদ্রিক ঘাসের আবাদের জন্য এসব উপকূলকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাসোসিয়েশন ফর শোর এনভায়ার্নমেন্ট ক্রিয়েশন’ নামের এই প্রকল্পের কর্মকর্তা ও সমুদ্রবিজ্ঞানী কেইতা ফুরুকাওয়া জানান, ‘বাতাস থেকে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে এই ঘাস বেশ কার্যকর। আর তাই স্থলভাগে বৃক্ষ রোপণের পাশপাশি এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।’ তাছাড়া জাপানের সমুদ্র বিজ্ঞানীদের এই দাবি যে সঠিক তার সাক্ষ্য মিলেছে দেশটির পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের তথ্যেও। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেকা গেছে, ২০২২ সালে জাপান উপকূলের অগভীর অংশের এসব ঘাসের বাগান পানি ও বাতাস থেকে শুষে নিয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার টন কার্বন।
সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম