টপ নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন ‘অভিশ্রুতি’ নামে একজন নারী সাংবাদিক। কিন্তু তার প্রকৃত পরিচয় জানা যায় নি। কিন্তু তার প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এরপর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে গেলে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পক্রিয়া চলছে। শুক্রবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিহত নারী সাংবাদিকের পরিচয় নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত আছেন।
এস আই আব্দুল জব্বার জানান, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে অভিশ্রুতির প্রকৃত পরিচয় পাওয়া গেছে।বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে রয়েছেন একজন নারী সাংবাদিক । ওই সাংবাদিক কর্মক্ষেত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত। এমনকি তার একটি বায়োডাটায় লেখা আছে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী।
কিন্তু তার মৃত্যুর খবর দেখে মরদেহ নিতে আসেন কুষ্টিয়ার শাবলুল আলম সবুজ নামে একজন।এমনকি তিনি নিজেকে অভিশ্রুতির বাবা বলে পরিচয় দেন । এরপর দাবি করেন অভিশ্রুতি মুসলিম। ফলে ওই সাংবাদিকের প্রকৃত পরিচয় নিয়ে তেরি হয় ধোঁয়াশা । এমনকি জটিলতা তৈরি হয় মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে। মৃত্যুর খবর পেয়ে কুষ্টিয়ার শাবলুল আলম ছাড়া ওই নারীর মরদেহ নিতে অন্য কেউ আসেননি।পক্ষান্তরে পরিচয় নিশ্চিত হতে ওই সাংবাদিকের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়া হয় ও পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়,এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন ।এছাড়াও বাবার নাম সবুজ শেখ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম লেখা আছে।
এনআইডি অনুযায়ী তার ঠিকানা ও গ্রাম বনগ্রাম, ডাকঘর -বনগ্রাম, উপজেলা- খোকসা ও জেলা কুষ্টিয়া। এনআইডির তথ্যানুযায়ী পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এখন সাংবাদিক অভিশ্রুতির মরদেহ তার বাবা শাবলুল আলম সবুজের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টি খাতুনের মা বিউটি বেগম ঢাকা পোস্টকে জানান, অভিশ্রুতি নামটি তার নিজের দেওয়া। কিন্তু ওর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন।
তার বাবা সবুজ শেখ বলেন, অভিশ্রুতি আমার নিজের মেয়ে। অভিশ্রুতি আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড়।এছাড়াও আমার আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। নিজের মেয়েকে নিয়ে কেন এমন মিথ্যা বলব?
সম্পাদনায়: আয়েশা ইসলাম